বাংলাগভনেট, ইনফো সরকার-২ ও ৩ এবং কানেক্টেড বাংলাদেশ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশকে শতভাগ ইন্টারনেট সংযোগ ও ৫০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে সরকার। এছাড়াও ৫ হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণকে প্রায় ২০০ রকমের ডিজিটাল সেবা দেয়া হচ্ছে। এসব পদক্ষেপে জনগণ সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে , সরকারি সেবা গ্রহণে মানুষের ভোগান্তিও কমেছে।
গ্লোবাল সাইবার স্পেস কনফারেন্স ২০১৭ এর ব্রিজিং দ্য ডিজিটাল ডিভাইড-এমপাওয়ারিং বাই টেকনোলজি লেড ইনক্লুসিভনেস অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্লেনারী সেশনের আলোচনায় এসব কথা বলেন।
ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী পলক ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন ও সম্ভাবনা তুলে ধরে আরও বলেন: প্রযুক্তি বৈষম্য হ্রাস করতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল অবকাঠামো ও সেবা সহজলভ্য করা, সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সেবা, ডিজিটাল যন্ত্র ও অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের পর্যাপ্ততা বৃদ্ধি করা, দক্ষতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর অভাব এবং সর্বোপরি সমন্বিতভাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা সৃষ্টি করা। তাই আমরা এ সকল বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছি এবং এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নানা ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছি। এর মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের মধ্যে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং গবেষণা ও উন্নয়ন খাত থেকে সুনির্দিষ্টভাবে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম হবো।
ভারতের ইলেকট্রনিক্স, তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী আলফনস কান্নানথানম, ঘানার যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্রুলা ওয়োসু-একুফুল এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমি্উনিকেশন সংস্থা’র মহাপরিচালক হাওলিন ঝাও এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
এই সম্মেলনে প্রায় ২০টি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এবং ১৩৬ দেশের আলোচকরা বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৩ নভেম্বর সকালে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।