‘নেই…আছেন তিনি, থাকবেন’ শিরোনামে রবীন্দ্রত্তোর বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ নাট্যকার সেলিম আল দীনের দশম প্রয়াণ দিবস নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ। ২০০৮ সালের এই দিনে উপমহাদেশের এ বরেণ্য নাট্যকার মারা যান। তিনি ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
দিবসটি উপলক্ষে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় একটি স্মরণযাত্রা সেলিম আল দীনের সমাধিস্থলে গিয়ে শেষ হয়। স্মরণযাত্রায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ, সেলিম আল দীনের স্বজনেরা অংশগ্রহণ করেন।
স্মরণযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অবস্থিত সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, বাংলাদেশ গ্রামথিয়েটার, ঢাকা থিয়েটার, সেলিম আল দীন ফাউন্ডেশন, তালুকনগর থিয়েটার, স্বপ্নদল ঢাকা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, পুতুলনাট্য গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, নাটক সংসদ, কলমা থিয়েটার, ভোর হোল, শহীদ টিটু থিয়েটারসহ অন্যান্য সংগঠন সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে।
সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘সেলিম আল দীন ক্ষণজন্মা পুরুষ। সেলিম আল দীনের সৃষ্টিকর্ম এবং স্মৃতি সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবদান রাখতে পারলে খুশি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেলিম আল দীনের সৃষ্টিকর্ম প্রসারের যে কোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে।’
প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে সেলিম আল দীন স্মরণে আলোচনা সভা ও নাটক মঞ্চায়ন।
১৯৪৯ সালে ১৮ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজিতে জন্মগ্রহণ করেন সেলিম আল দীন। ১৯৭৪ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তার হাত ধরেই ১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ। ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন রবীন্দ্রত্তোর শ্রেষ্ঠ এই নাট্যকার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।