সামনে কঠিন পথ। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ যেন বাংলাদেশকে এমন বার্তা দিয়ে গেল। দ্বিতীয় দিন বোলাররা উইকেটের জন্য খাবি খাওয়ার পর শেষ দিন ব্যাটসম্যানদের ভুগতে দেখা গেছে দারুণভাবে।
আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এসব প্রস্তুতি ম্যাচ সাধারণত ‘ড্র’তেই শেষ হয়। বেনোনিতে সাউথ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটিও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৫ রান তুলতে ৯ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংস ঘোষণা করার পরপরই ‘ড্র’ মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশিদের মধ্যে ফিফটি পেয়েছিলেন তিনজন। এদিন দুইজন-ইমরুল কায়েস (৫১), সাব্বির রহমান (৬৭)। তৃতীয় সর্বোচ্চ মুমিনুলের, ৩৩। আর কেউ ২০’র ঘর স্পর্শ করতে পারেননি! তামিম প্রথম ইনিংসে ইনজুরিতে পড়ার পর আর ব্যাট করেননি। এরপর সৌম্য ইনজুরিতে পড়েন দ্বিতীয় ইনিংসে। আশার কথা হলো শনিবার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই ওপেনারের ইনজুরি তেমন গুরুত্বর নয়।
সাউথ আফ্রিকার মতো দেশে সাধারণত উইকেটে বাড়তি পেস আর বাউন্স থাকে। উপমহাদেশের বোলার-ব্যাটসম্যানদের সেখানে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়। তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে।
শুক্রবার মোস্তাফিজ, শুভাশিস কম রান খরচ করলেও উইকেট বের করতে হাঁপিয়ে মরেন। ২.১৫ গড়ে ১৩ ওভারে মোস্তাফিজের খরচ ছিল ২৮ রান। মেডেন সাতটি। ১.৮০ গড়ে ১৫ ওভারে শুভাশিসের খরচ ২৭। তারও মেডেন সাতটি। দুজনে একটি করে উইকেট দখল করেন। শফিউল ১২ ওভারে ৬৫ দিয়ে দুই উইকেট নেন।
অন্যদের অবস্থা আরও খারাপ ছিল। তাসকিন ১৪ ওভারে খরচ করেন ৭০। তাইজুল ১৬ ওভারে ৪৭। সমান সংখ্যক ওভারে মিরাজের খরচ ৫৬। সবাই একটি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ৭৪.১ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশ ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে।
প্রথমদিন ইমরুল-সৌম্য ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন। তবে মুমিনুল, মুশফিক থামেন ফিফটি পেরিয়ে। এরপর সাব্বির অর্ধশতক পার হলে ইনিংস ঘোষণা করেন মুশফিক।
সাউথ আফ্রিকারও তিনজন দ্বিতীয় দিন (শুক্রবার) ফিফটির দেখা পান। জুবায়ের হামজা করেন ৬০, ম্যাথিউ ক্রিস্টেনসেন ৫৩, ভন ব্রেগ ৬২*। তিনজনই শতাধিক বল মোকাবিলা করেন। বাংলাদেশের কেউ শতাধিক বল খেলতে পারেননি।