এগিয়েছে কেয়ামতের ঘড়ির (ডুমসডে ক্লক) কাটা। পৃথিবী ধ্বংসের সেই প্রলয়ঙ্করী রাত থেকে আর মাত্র দুই মিনিট দূরে আমরা। কেয়ামতের ঘড়ির কাটা আর দুই মিনিট এগিয়ে এলেই পৃথিবীতে মে আসবে সেই কালো রাত। ধ্বংস হবে সবকিছু।
ডুমসডে ক্লক একটি প্রতিকী ঘড়ি। বিশ্ব ধ্বংসের কত কাছাকাছি আছে, তা বোঝাতেই ঘড়িটি ব্যবহৃত হয়।
সিএনএন জানায়, কেয়ামতের ক্ষণ এগিয়ে আসার এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। বৃহস্পতিবার ‘দ্য বুলেটিন অব অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্ট’ এ এই কথা জানিয়েছেন তারা। মূলত ১৯৪০ সাল থেকে পারমানবিক অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রযুক্তি পৃথিবীকে এই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে জানান এই বিজ্ঞানী দল।
দ্য বুলেটিন অব অ্যাটোমিক সায়েন্টিস্ট এর প্রেসিডেন্ট রাচেল বনসন বলেছেন, আমরা আজ এই ঘড়ির কাটা নির্ধারণ করলাম। আজকের হিসাবে পৃথিবী এখন ধ্বংসের সময় থেকে দুই মিনিট দূরে। তবে এই ঘড়ি পুননির্ধারণের আবেদনও আমরা করে রেখেছি।
সর্বশেষ কেয়ামতের ঘড়ি সেই প্রলয়ঙ্করী রাতের খুব কাছাকাছি এসেছিল ১৯৫৩ সালে, যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমানবিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল।
২০১৭ সালে খুব কাছাকাছি আসে এই ঘড়ির কাটা। সেবার প্রলয়ঙ্কারী রাতের তিন থেকে আড়াই মিনিট কাছে চলে আসে ঘড়ির কাটা। আর সবচেয়ে দূরে থাকে ১৯৯১ সালে। সেবার ১৭ মিনিট দূরে ছিল এর অবস্থান।