রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডে ‘নব্য’ বুটিকসের বিক্রয়কর্মী রোকসানা আক্তার টুম্পা হত্যার ঘাতক স্বামী সবুজ (২৯) কে যশোর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। দাম্পত্য কলহ, ঝগড়া ও সন্দেহ প্রবণতাকে ঘিরে ফল কাটার ছুরি দিয়ে নিজের স্ত্রী টুম্পাকে সবুজ শেখ হত্যা করে।
বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের র্যাব-২ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন র্যাব-২ ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মেজর মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন: মৃত রোকসানা আক্তার টুম্পা তার দ্বিতীয় স্ত্রী, এর আগে ২০০৮ সালে সবুজ শেখ প্রথম বিয়ে করে। সবুজের বিয়ের ছয় মাস পর টুম্পা নিজের পিতামাতার অমতে ঘাতক সবুজকে বাড়ী হতে পালিয়ে বিয়ে করে।
‘বিয়ের বিবাহের বছর খানেক পর হতে তাদের দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হলে ফলে টুম্পা সবুজকে ডিভোর্স দেয়। ডিভোর্স হওয়ার কিছুদিন পর তারা মান-অভিমান ভুলে পুনরায় সাভারের একটি কাজী অফিসে আবার বিয়ে করে। সবুজ শপার্স ওয়ার্ল্ডে এবং টুম্পা মিরপুর বুটিকস ফ্যাশনে বিক্রয়কর্মী হিসাবে যোগদান করে এবং তারা মিরপুরের একটি ভাড়া বাসায় থাকত।
সবুজের সন্দেহমুলক মনোভাব এর কারণে পুনরায় তাদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ সবুজের চাচাতো ভাই নাসিরের দোকানে টুম্পা বিক্রয়কর্মী হিসাবে যোগদান করে। সেখানে সবুজ নাসিরের সাথে টুম্পার সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলে তাদের দাম্পত্য জীবন মারাত্মক কলহ সৃষ্টি হয়।
এ কারণে স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশে সে ত্রিশ টাকা দিয়ে একটি ফল কাটার ছুরি কিনে টুম্পার গলায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।’
মেজর মোহাম্মদ আলী জানান: আত্মগোপন করার জন্য সে প্রথমে পল্টন, যাত্রাবাড়ী হয়ে চট্টগ্রাম পালিয়ে যায়। পরে সে ভারত পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘাতক সবুজ যশোরে অবস্থান করতে থাকে। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-২ যশোরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
১৫ অক্টোবর সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডের ‘নব্য’ নামক বুটিকস হাউজের বিক্রয়কর্মী রোকসানা আক্তার টুম্পাকে তার নিজ কর্মস্থলে স্বামী মো: সবুজ ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। পরে ভিকটিমকে তার সহকর্মীরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।