গোলাম মোস্তফা: পতিত অনুর্বর বালিমাটিতে চিনাবাদাম চাষ করে সফলতা পেয়েছে মেহেরপুরের কৃষক। ফলন ও বাজার দর ভালো হওয়ায় দিন দিন সেখানে বাড়ছে চিনা বাদামের আবাদ।
কৃষকরা বলছেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাংগা, শ্যামপুর, টেংগারমাঠ ও গোপালপুর গ্রামের অধিকাংশ জমি বালি মাটির হওয়ায় চাষীরা অন্যান্য ফসল আবাদ করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না। এ কারণে ধান কাটার পর এ সব জমি সাধারণত ফাঁকা পড়ে থাকে।
তাই জমি এভাবে ফাঁকা ফেলে না রেখে ৯০ দিনের ফসল হিসেবে অল্প খরচে বাদাম চাষ করেছেন চাষিরা। বাদামের বাজার মূল্য ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছে কৃষক। প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২,৪০০ থেকে ২,৬০০ টাকায়।
এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। ৭-৮ মণ ফলনে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা আয় হচ্ছে কৃষকের। জেলায় এবার চিনাবাদামের আবাদ হয়েছে ৫০ হেক্টর জমিতে।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বাদাম ছাড়ানো, শুকানো সহ যাবতীয় কাজ করে থাকেন নারীরা। এছাড়া বাদামের গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: