সাকিব আল হাসানকে এক ম্যাচ খেলিয়েই বসিয়ে দিয়েছে কলকাতা। এরপর সুনীল নারিনকে আরেকবার ওপেনিংয়ে এনে চমক ধরে রেখেছে। নারিন পারলেও পরে অন্যদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবতেই বসেছিল নাইট রাইডার্সরা। বোলারদের দৃঢ়তায় আবার ভেসে উঠে তুলে নিয়েছে ৮২ রানের দুর্দান্ত এক জয়। সঙ্গে বেঙ্গালোরকে আইপিএলের ইতিহাসের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের লজ্জায় ডুবিয়েছে।
ইডেন গার্ডেন্সে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারের ৩ বল আগে গুটিয়ে যাওয়ার সময় মাত্র ১৩১ রানই জমা করতে পারে কেকেআর। সর্বোচ্চ সংগ্রহটি নারিনের ৬ চার ও ১ ছয়ে ১৭ বলে ৩৪!
বাকিদের মধ্যে আরো পাঁচজন দুই অংকের কোটা পেরিয়েছেন। কিন্তু কোন ব্যাটসম্যানই আর ২০-এর ঘর পেরোতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রিস ওকসের ১৮।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সদের হয়ে হাত ঘোরানো সবাই উইকেট পেয়েছেন। বল করা ছয় বোলারের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট চাহালের। সেও ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায়। বাকিদের মধ্যে টায়মাল মিলস ও পবন নেগির ২টি করে।
পরে ব্যাটিংয়ে এসে গেইল, কোহলি, ডি ভিলিয়ার্স সমৃদ্ধ লাইনআপ অলআউট হয়ে যায় ৯.৪ ওভারে। মাত্র ৪৯ রানে। চ্যালেঞ্জার্সদের কেউই দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি ব্যাটিংয়ে এসে। সর্বোচ্চ ৯ রান কেদার যাদবের। শূন্য তিন জনের। যার অন্যতম জন অধিনায়ক কোহলি। সেটিও গোল্ডেন ডাক। গেইল ১৭ বলে ৭ আর ডি ভিলিয়ার্স ৬ বলে ৮ রানে ফিরেছেন।
বেঙ্গালোরের রোববারের সংগ্রহটি আইপিএলের ইতিহাসে দলীয় সর্বনিম্ন। আগের সর্বনিম্ন সংগ্রহটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসের। বেঙ্গালোরের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে ১৫.১ ওভারে ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল রাজস্থান।
দাপুটে জয়ের ম্যাচে কেকেআরের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাচ সেরা হওয়া নাথান কোল্টার নাইল, ক্রিস ওকস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। অন্য উইকেটটি উমেশ যাদবের।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়েই থাকল কলকাতা। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর চার পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে রয়্যালরা।