১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যা করা হয়। ভয়াবহ সেই দিনটির কথা উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সাক্ষীদের জবানবন্দিতে। জবানবন্দি থেকে পাওয়া যায় সেদিনের ভয়াবহতার চিত্র। জানা যায় ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন ৩২ নম্বরের বাড়িটির ভেতরে-বাইরে। সাক্ষীদের জবানবন্দির ভিত্তিতে চ্যানেল আই অনলাইনের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অষ্টম পর্ব।
প্রসিকিউশনের ১৬নং সাক্ষী মেজর শহিদুল্লা আদালতকে জানান, ঘটনার সময় তিনি ১ম বেঙ্গল ল্যান্সারের ‘বি’ স্কোয়াড্রনে ছিলেন। তার স্কোয়াড্রন কমান্ডার ছিলেন মেজর ক্যাপ্টেন শরিফুল হোসেন। অন্য অফিসার ছিলেন ক্যাপ্টেন ফিরোজ এবং লেঃ ফারুকুজ্জামান, মেজর বাকের, মেজর এ. কে. এম. মহিউদ্দিন, মেজর খন্দকার নুরুল হক, ক্যাপ্টেন দেলোয়ার হোসেন, ক্যাপ্টেন আনিসুর রহমান, লেঃ নকিবুর রহমান, লেঃ কিসমত, লেঃ নামজুল হোসেন। ১৫ই আগস্ট সকালে তার ইউনিটের ডিউটি অফিসার শহরে তাদের স্কোয়াড্রনের সৈনিকরা কোথায় আছে খুঁজে বের করার জন্য তাকে নির্দেশ দেয়। তিনি ইউনিসেফ এর একটি ট্রাকে করে শহরে বের হয়ে পথে কয়েক জায়গায় আর্টিলারির সৈনিকদের কাছে জিজ্ঞাসা করে মিরপুর রোডে কলাবাগানের কাছে তাদের সৈনিকদের খোঁজ পায়।
সেখানে সৈনিকরা বলে তাদের কাছে তিনজন অফিসার আটক আছে। রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন এই তিনজন অফিসারকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়ে গেছেন। আটককৃত অফিসাররা ছিলেন, রাষ্ট্রপতির মিলিটারি সেক্রেটারি ব্রিঃ মাশরুরুল হক, এ. ডি. সি. ক্যাপ্টেন শরীফ আজিজ এবং লেঃ গোলাম রব্বানী। তারা হাত চোখ বাঁধা অবস্থায় নার্সারীর ভেতরে ছিলেন। এই সময় উত্তর দিকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে তাদের টু আই সি মেজর ফারুককে একটি জীপে করে দক্ষিণ দিকে অর্থাৎ তাদের দিকে আসতে দেখেন। তার জীপ থামিয়ে বলেন, ঐ তিনজন অফিসারকে মেরে ফেলার নির্দেশ আছে। এখন বলুন ওদেরকে কী করব? তিনি ঐ তিনজন অফিসারকে গণভবনে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। তখন ঐ তিনজন অফিসারের হাতের ও চোখের বাঁধন খুলে গণভবনে নিয়ে এ ডি সির রুমে বসায়। গণভবনে তখন আর্টিলারির মেজর মুহিউদ্দিনকে তার টুপিসহ দেখেন। পরে ঐ দিন মেজর ফারুকের নির্দেশে ঐ তিনজন অফিসারকে সেনা সদরে পৌঁছে দেন।
১৭নং সাক্ষী হাবিলদার গানার সামছুল ইসলাম
প্রসিকিউশনের ১৭নং সাক্ষী হাবিলদার গানার সামছুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ঘটনার সময় ২ ফিল্ড আর্টিলারির কিউবিক ব্যাটারিতে ছিলেন তিনি। ক্যাপ্টেন জোবায়ের সিদ্দিকী তাদের ব্যাটারির কমান্ডার ছিলেন। মেজর মহিউদ্দিন, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর, ক্যাপ্টেন মোস্তফা, লেঃ ওয়ালী, লেঃ লেনিন কামাল রেজিমেন্টের অফিসার ছিলেন। তাদের ব্যাটারির ৬টি কামানের মধ্যে তিনি ৫নং কামানের ল্যান্সনায়েক ছিলেন।
১৪ই আগস্ট দিবাগত রাতে তাদের ৬টি কামান নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিউ এয়ারপোর্টে বালুরঘাটে নাইট ট্রেনিংয়ে যান। রাত প্রায় ১২টার সময় একটি ট্রাক থেকে কামানের গুলি ব্যক্তিগত হাতিয়ার ও এমিউনিশন এনে কামানের পিছনে নির্ধারিত জায়গায় রাখেন। তখন মেজর রশিদ, মেজর মহিউদ্দিন, ক্যাপ্টেন মোস্তফা, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর, ক্যাপ্টেন জোবায়ের সিদ্দিকী, লেঃ হাসান উপস্থিত ছিলেন। পাপা ব্যাটারির কমান্ডার মেজর মহিউদ্দিন কামানগুলির পিছনে দাঁড়িয়ে নায়েব সুবেদার হাশেমকে কিছু হুকুম শুনালে তিনি কিছু সৈনিক ট্রাকে উঠিয়ে কিউবিক ব্যাটারি থেকে তাদের ৪/৫ জন গানারকে এ ট্রাকে উঠায়।
রাত প্রায় ৩.৩০ টার সময় ৬টি ট্রাকের সাথে ৬টি কামান ‘হুক’ করে মুভ করে। তিনি মেজর মহিউদ্দিনের কামানে ছিলেন। হাবিলদার আবুল বাসার, হাবিলদার কালাম ও হাবিলদার আবু তাহের অন্যান্য কামানে ছিল। কামান ও ট্রাকগুলি কলাবাগান সোজা ধানমন্ডি লেকের পাশে রাত ৪টার সময় পৌঁছালে মেজর মহিউদ্দিনের নির্দেশে কামানগুলি বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ও রক্ষীবাহিনী হেড কোয়ার্টারের দিকে তাক করে বসানো হয়। কিছুক্ষণ পরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিক থেকে হালকা হাতিয়ারের গুলির শব্দ শুনে মেজর মহিউদ্দিনের নির্দেশে ৪ রাউন্ড কামানের গুলি ছুড়েন। সকাল থেকে মেজর মহিউদ্দিনের হুকুমে কামান গুলি ক্লোজ করে ট্রাকের সাথে ‘হুক’ করে শহরের বিভিন্ন সড়ক টহল দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যান। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ট্যাংক দাঁড়ানো অবস্থায় দেখেন। ব্যারাকে গিয়ে শোনেন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যান্যদেরকে হত্যা করা হয়েছে। আরো শুনেন মেজর ডালিম, মেজর নূর, মেজর হুদা, মেজর শাহরিয়ার, মেজর আজিজ পাশা, ক্যাপ্টেন জোবায়ের সিদ্দিকী, ক্যাপ্টেন মোস্তফাসহ অন্যান্য অফিসার বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত ছিল।
১৮নং সাক্ষী হাবিলদার গানার আবু তাহের
প্রসিকিউশনের ১৮নং সাক্ষী হাবিলদার গানার আবু তাহের আদালতকে বলেন, ঘটনার সময় ২ ফিল্ড আর্টলারির গানার পদে ছিলেন তিনি। মেজর মহিউদ্দিন তাদের ‘পাপা’ ব্যাটারি কমান্ডার ছিলেন। ১৪ই আগস্ট দিবাগত রাতে মেজর মহিউদ্দিনের নির্দেশে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কামানসহ তাদেরকে নিউ এয়ারপোর্ট বালুরঘাটে নাইট ট্রেনিংয়ে নিয়ে যান। রাত প্রায় ৪টার সময় বালুর ঘাট থেকে ধানমন্ডি খেলার মাঠের উত্তর-পূর্ব কোণায় এসে রাস্তার পশ্চিম পাশে কামান লাগান। তিনি ৩নং কামানের দায়িত্বে ছিলেন।
কিছুক্ষণ পর উত্তর-পশ্চিম দিকে গুলির আওয়াজ শোনেন। কিছু পরেই ৪টা গোলার আওয়াজ শোনেন। আরো কিছু পরে মেজর মহিউদ্দিনের নির্দেশে কামানগুলি প্লেস করে গণভবনের দিকে যান। সেখানে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর মেজর মহিউদ্দিনের হুকুমে শহরের বিভিন্ন সড়ক টহল দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যান। পথে সিভিলিয়ানদের মুখে মেজর ডালিমের রেডিও ঘোষণার বরাতে শেখ সাহেবকে হত্যা করার কথা শোনেন। ব্যারাকে গিয়ে সৈনিকদের আলাপ আলোচনায় জানতে পারেন যে, বঙ্গবন্ধু, সেরনিয়াবাত ও শেখ মনিসহ তাদের পরিবারের লোকজনকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে মেজর ডালিম, মেজর ফারুক, মেজর রশিদ, মেজর শাহরিয়ারসহ অন্যান্য অফিসাররাও জড়িত ছিল।
১৯নং সাক্ষী দফাদার সহিদুর রহমান
প্রসিকিউশনের ১৯নং সাক্ষী দফাদার সহিদুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় ১ম বেঙ্গল ল্যান্সারের ‘এ’ স্কোয়াড্রনে ছিলেন তিনি। তিনি একজন খেলোয়াড় ছিলেন। আবার তাবলীগও করতেন। ১৪ই আগস্ট দিবাগত রাত ১০টা পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে থেকে ক্যান্টনমেন্টে ফেরত যান। খানায় যাওয়ার পর এস. ডি. এম. মোসাদ্দেরের নির্দেশে তার জীপ গাড়ি রেডি করে প্রস্তুত থাকেন। সেদিন তাকে নাইট প্যারেডের কথা জানালেও নাইট প্যারেড হয় কিনা জানতে পারেন না। রাত প্রায় ৪টার সময় ইউনিফরম পরা মেজর ডালিম, স্টেনগান হাতে তার গাড়িতে উঠে গাড়ি এ্যাডভান্স করতে বলেন। একটা ট্রাক তাদের গাড়ি অনুসরণ করতে থাকে। মগবাজার চৌরাস্তা পার হলে মেজর ডালিম গাড়ি থামিয়ে পিছনের ট্রাক থেকে ফোর্স নামিয়ে মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়ির চারদিকে মোতায়েন করেন। ১০/১৫ মিনিট পরে ফিরে এসে জীপ চালাতে বলেন।
বর্তমান শেরাটন হোটেলের কাছে গেলে সেরনিয়াবাতের বাড়িতে গুলির শব্দ শোনে। তখন মেজর ডালিম জীপ ফিরিয়ে সেরনিয়াবাতের বাড়ির দিকে আসেন। স্টেনগানসহ গাড়ি থেকে নেমে সেরনিয়াবাতের বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণায় রাস্তার উপর দাঁড়ান। তখন তিনি গাড়িতে বসে ২ রাকাত ফজরের নামাজ পড়ে নেন। কিছুক্ষণ পরে মেজর ডালিম এসে রেডিও সেন্টারে যান। তখন আরেকজন আর্মি অফিসার সশস্ত্র অবস্থায় এলে ২ জন কথা বলতে বলতে ভেতরে যান।
তিনি রেডিও সেন্টারে রেইসকোর্সের ট্যাংক দেখেন। সেখানে ফোর্সদের কাছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে মেজর ডালিম রেডিওতে ঘোষণা দিচ্ছে বলেও শোনেন। কিছুক্ষণ পর মেজর ডালিম বাইরে এসে ধানমন্ডি ৩২নং রোডের মাথায় জীপ থামিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যায়। পিছনে একটি খোলা জীপে সশস্ত্র আর্মি ছিল। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এসে আর্মি হেড কোয়ার্টারে যায়। আর্মি হেড কোয়ার্টারে স্টেনগানসহ নেমে উগ্র ভাষায় গালি-গালাজ করতে করতে হেড কোয়ার্টারে ঢুকে পড়ে। পরে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল শফিউল্লাহকে হেড কোয়ার্টার থেকে বাইরে নিয়ে আসে। পিছনে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানসহ উর্ধ্বতন আর্মি অফিসাররা ছিলো। সেখানে মেজর ডালিম অন্য একটি সশস্ত্র গাড়িতে উঠে রেডিও সেন্টারে চলে যায়। তিনি বেলা ১২টা পর্যস্ত সেখানে থেকে রেজিমেন্টে চলে যান।
২০ নং সাক্ষী-আইনউদ্দিন মোল্লা
প্রসিকিউশনের ২০ নং সাক্ষী আইনউদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘটনার সময় তিনি সরকারি পরিবহন পুলের ড্রাইভার ছিলেন। তার আগে আর্মিতে ড্রাইভার ছিলেন। আর্মি থেকে ১৯৭৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ঘটনার সময় তিনি কর্নেল জামিলের ড্রাইভার ছিলেন।
১৫ আগস্ট সকাল প্রায় ৫টার সময় তার ঘরের কলিংবেল বেজে উঠে। তখন বাথরুমে অজু করছিলেন তিনি। তাড়াতাড়ি বাসার সামনে গেলে কর্নেল জামিল উপর থেকে বলেন, তাড়াতাড়ি গাড়ি রেডি করো এবং গণভবনে গিয়ে সকল ফোর্সকে হাতিয়ার ও গুলিসহ ৫ মিনিটের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলো। তখনই গণভবনে গিয়ে ফোর্সদের এই নির্দেশ শোনান। ফিরে এসে সরকারি গাড়ির পরিবর্তে কর্নেল জামিলের নির্দেশ মতো তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তাকে নিয়ে ধানমন্ডির ২৭নং রোডের মাথায় বয়েজ স্কুলের গেটে পৌঁছালে সেখানে গণভবন থেকে আগত ফোর্সগুলিকে দেখেন। তখন দ্রুত সোবহানবাগ মসজিদের কাছে গেলে দক্ষিণ দিক থেকে শোঁ-শোঁ করে গুলি আসতে থাকে। কর্নেল জামিল সেখানে গাড়ি থামিয়ে গাড়িতে বসে থাকেন।
তাকে ফোর্স অ্যাটাক করানোর জন্য বললে জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ওয়ার-ফিল্ড নয়, ফোর্স অ্যাটাক করালে সিভিলিয়ানের ক্ষতি হতে পারে।’ এরপর তিনি প্রতিপক্ষের অবস্থান জেনে আসার জন্য নির্দেশ দিলে তিনি গাড়িতে চাবি রেখে দেয়াল ঘেঁষে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে যেতে থাকলে দক্ষিণ দিক থেকে আর্মি পোশাক পরিহিত ৫/৬ জন অস্ত্রধারীকে কর্নেল জামিলের গাড়ির দিকে দৌড়ে যেতে দেখেন। অবস্থা খারাপ বুঝে কর্নেল জামিলকে পিছনে যাওয়ার জন্য হাত দিয়ে ইশারা দেন। স্যার, স্যার, বলেও কয়েকবার আওয়াজ করেন। তাতেও কর্নেল জামিল তাকাননি।
সেসময় আর্মির অস্ত্রধারি লোকগুলি গাড়ির কাছে পৌঁছে যায়। কর্নেল জামিল দুই হাত উঠিয়ে তাদেরকে কিছু বলার বা বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা কর্নেল জামিলকে লক্ষ্য করে ২/৩টা ফায়ার করলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। ঐ আর্মিরা ড্রাইভার খুঁজতে থাকলে তিনি ভেতর দিয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার ব্রিগেডে চলে যান। ঐ সময় ক্যান্টনমেন্ট থেকে আই. এস. আই. এর গাড়ি যাচ্ছিলো। ড্রাইভার তার পরিচিত ছিল। গাড়ি থামিয়ে ঐ গাড়িতে কর্নেল জামিলের বাসায় যান। এবং বেগম সাহেব হার্টফেল করতে পারেন এই ভয়ে মৃত্যুর খবর না দিয়ে সাহেবকে আর্মির লোকজন ধরে নিয়ে গেছে বলে খবর দেন।
বেগম সাহেব কর্নেল মাশরুরুল হকের কাছে ফোন করেন এবং বিকেলে আর্মির পিকআপে মালপত্র নিয়ে লালমাটিয়া তার ভাইয়ের বাসায় চলে যান। সাথে তিনিও ছিলেন। সকালে সরকারি পরিবহন পুলে রিপোর্ট করেন। পরের দিন মেজর ইকবাল ও ক্যাপ্টেন মোমিনের গাড়ি চালানোর জন্য বঙ্গভবনে ডিউটি দেয়। তখন বঙ্গভবনে আর্মির খুব দাপট। ভিতরে মেজর ডালিম, মেজর শাহরিয়ার, মেজর ফারুক, মেজর পাশা, মেজর নুরসহ আরো কয়েকজন আর্মি অফিসার থাকত। ড্রাইবার সফি, রোস্তম, হানিফ তাদের ডিউটি করত। তাদের কাছ থেকে জানতে পারে ঐ সব আর্মি অফিসাররা বঙ্গবন্ধু, শেখ মনি, সেরনিয়াবাত ও তাদের পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে।