মার্কিন মুলুকে এবং নিঃসন্দেহে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয় গোমড়ামুখো বিড়াল গ্রাম্পি। এমন বদমেজাজি গ্রাম্পি কেটের আয় বিশ্বের অনেক বড় বড় তারকাদের উপরে। তবে এবার গ্র্যাম্পি নতুন রেকর্ড গড়ল কপিরাইট মামলায় জয় লাভ করে।
টিনজাত রেডিমেড কফি কোম্পানি সাথে চুক্তি শেষ করার পরও তারা গ্রাম্পির ছবি ব্যবহার করেছে তাদের ঠান্ডা কমলপানীর কফি ‘গ্রাম্পপুচ্চিনো’ তে। আর এতেই বাধে বিপত্তি। গ্রাম্পি ক্যাটের মালিক কপিরাইট ঢুকে দেয় কফি কোম্পানির মালিকের ঘাড়ে।
ক্যালিফনিয়ার ফেডারেল কোর্ট এই মামলায় রায়ে গ্রাম্পি ক্যাটকে ৭ লাখ ১০ হাজার ইউএস ডলার দিতে বলে কফি কোম্পানিকে। আর বিশাল পরিমাণ টাকা পেয়ে খুশি গ্রাম্পির মালিকও।
গ্রাম্পির আসল নাম কিন্তু টার্ডাস সস। আমেরিকার বাসিন্দা গ্রাম্পির তুমুল জনপ্রিয়তায় তার আসল নামটিই এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। ২০১২ সালে গ্রাম্পির মালিক তাবাথা বান্ডিসেন তার পোষা বিড়াল গ্রাম্পির বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে। আর তারপর থেকেই ক্রমাগত কল আসতে শুরু করে তার মোবাইল ফোনে।
২০১৩ থেকে শুরু করে গ্রাম্পিকে দিয়ে তাবাথা আয় করেছেন ৬৪ মিলিয়ন ডলার। জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে গ্রাম্পিকে দিয়ে বিজ্ঞাপন, কমিক, ফিল্ম এবং সবশেষে ফেসবুক ইমোজি হিসেবেও দেখা যায়।
এছাড়া নিউইয়র্কে হাই প্রোফাইল একটি অনুষ্ঠানে নেসলে গ্রাম্পিকে তাদের আজীবন সম্মাননা পদকও দিয়েছে গ্রাম্পি ক্যাটকে!
দুটি বইয়ের প্রচ্ছদের জন্যও কাজ করেছে গ্রাম্পি। এগুলোর মধ্যে ‘গ্রাম্পি ক্যাট: এ গ্রাম্পি বুক’ বইটি নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার তালিকায়ও স্থান করে নিয়েছিলো। দ্বিতীয়টি ‘দ্যা গ্রাম্পি গাইড টু লাইফ’ এখনও আমাজান ডটকমের বেস্ট সেলার তালিকায় রয়েছে।
এসব ছাড়াও নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন পণ্য দ্রব্য বিপনন প্রতিষ্ঠান থেকেও আয় হয় গ্রাম্পির। ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে প্রাণি খাদ্য পর্যন্ত ১৪০ পণ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রাম্পি।
এছাড়া বিখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক প্রতিষ্ঠান লায়নসগেট নির্মিত গ্রাম্পি ক্যাটস, ওরর্স ক্রিসমাস এভার নামে একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছে সে। এসব কাজের পারিশ্রমিক আদায় ও চুক্তি করার জন্য গ্রাম্পির একজন ম্যানেজারও রয়েছে!