১২টি ওয়াইড, ২টি নো বল, লেগ বাই থেকে ৫ রান; মিরপুরে এক ম্যাচ আগে ১৯টি রান অতিরিক্ত দিয়ে হতাশ করেছিলেন রংপুরের রাইর্ডাসের বোলাররা। যদিও ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৬১টি ডট বল দিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারা। নাটকীয়ভাবে ম্যাচটাও জিতে নিয়েছিলেন মাশরাফীরা। ঢাকা পর্বের পর বিপিএল এখন চট্টগ্রাম। ভেন্যু বদলিয়ে বদলে গেল রংপুরও। অতিরিক্ত এড়ানোর শপথে ভালোভাবেই সফল মাশরাফী-মালিঙ্গারা।
শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের শুরুর ম্যাচে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে মাত্র ৫ রান অতিরিক্ত দিয়েছে রংপুরের বোলাররা। ২০ ওভারে তিনটি লেগবাই, একটি বাই আর একটি ওয়াইড। ইনিংসের একমাত্র ওয়াইডটি করেছেন পেসার রুবেল হোসেন। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়ে সফল বোলারও তিনি।
আগের ম্যাচে ৪ ওভারে একাই ৬টি ওয়াইড দিয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। খুলনার বিপক্ষে কোন অতিরিক্ত রান দেননি শ্রীলঙ্কান পেসার।
বিপিএলের পঞ্চম আসরে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত রান। ২৭টি অতিরিক্ত রান দিয়ে গত চার আসরের রেকর্ড ভেঙেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ২২টি ওয়াইড দিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছে ঢাকার বোলাররা। আগের রেকর্ডটি ঢাকারই ছিল। ২০১৫ সালে বিপিএলের তৃতীয় আসরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তারা ২৩ রান অতিরিক্ত খাতে দেয়। যেটি আবার ঢাকাই টপকায় মিরপুরে, গত ১৯ নভেম্বরের ম্যাচে।
আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ২৯টি অতিরিক্ত রান দেয়া দল সাউথ আফ্রিকা। ২০০৮ সালে হোম ভেন্যুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লজ্জার কীর্তিটি গড়ে প্রোটিয়ারা। তাতে বোলারদের চেয়ে দায় বেশি ছিডল উইকেটরক্ষকের। মার্ক বাউচার বাই রান থেকেই দেন ১৫। লেগবাই থেকে আসে ৯ রান। ওয়াইড থেকে ৫ রান।