রাজধানীর দক্ষিণখানের পূর্ব আশকোনার জঙ্গি আস্তানা থেকে রোববার দুপুরে অবিস্ফোরিত ১৯টি গ্রেনেড ও দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বোম্ব ডিসপোসাল টিম।
সূর্য ভিলা নামের তিন তলা বাড়িটির নীচতলার ফ্ল্যাটের দুটি কক্ষ থেকে ওই গ্রেনেড এবং সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করা হয়। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে জানিয়েছে বোম্ব ডিসপোসাল টিম।
অভিযানের একদিন পরও ওই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে গ্যাস জমে থাকায় সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি পুলিশ। ওই কক্ষেই কিশোর এক জঙ্গির লাশ রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস গ্যাস নিঃসরণের কাজ করছে।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ ও আলামতের ভিত্তিতে দেখা গেছে আশকোনায় জঙ্গিরা নব্য জেএমবির সদস্য এবং তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।
তিনি দাবি করেন, জঙ্গিরা তাদের কাছে থাকা ১২ লাখ টাকা, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন নথিপত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোর থেকে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সিটিটিসি পূর্ব আশকোনার ওই জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে রাখে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সোয়াট ও ডিএমপি বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা চূড়ান্ত অভিযান শুরু করে।
ওই সময় ভবনের ভেতরে থাকা একজন নারী জঙ্গি তার কোমরে থাকা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটালে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সাবিনা (৪) নামে এক শিশু আহত হয়। নিজের পিস্তলের গুলিতে নিহত হয় আরেক যুবক।
পুলিশের দাবি, নিহত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন পলাতক জঙ্গি সুমনের স্ত্রী তিশা। আরেকজন অাজিমপুরের নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরীর ছেলে।
এরমধ্যে জঙ্গি তিশা নিজের গায়ে বেঁধে রাখা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করে। আর তানভীর কাদেরীর ছেলে নিজের পিস্তল দিয়ে নিজেকে গুলি করে।
এর আগে অভিযানের এক পর্যায়ে জঙ্গি আস্তানা থেকে নিহত জঙ্গি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুনেচ্ছা শীলা, জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তাদের দুই সন্তান বের হয়ে এসে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।