নিখোঁজের ৭২ ঘন্টা পর আফতাবনগর এলাকার একটি ঝিল থেকে পুর্ব গোড়ানের মো জিসান হোসেন (১৩) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে বাড্ডা থানা পুলিশ। জিসান হত্যার ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার দাওয়াত খেতে যাওয়ার কথা বলে জিসান বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত শনিবার জিসানের বাবা মোফাজ্জল হোসেন খিলগাঁও থানায় একটি জিডি করেন।
জিসান নিখোঁজ হওয়ার দিনই তার মোবাইল থেকে বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে ১৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়। বিনিময়ে জিসানকে ফেরত দেয়া হবে বলে জানানো হয়। পরে ওই নাম্বারটিতে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।
১৩ বছর বয়সী ওই কিশোর পূর্ব গোড়ানের এক রিকশা গ্যারেজ মালিকের স্কুল পড়য়া ছেলে। জিসান স্থানীয় ইন্টারন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দুই ভাই-দুই বোনের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়। তার বাবার রিকশা গ্যারেজের আয় দিয়ে তাদের সংসার চলত।
জিডি’র সূত্র ধরে খিলগাঁও পুলিশের কর্মকর্তারা তদন্ত চালিয়ে গেলেও জীবিত উদ্ধার করতে পারে নি জিসানকে।
মঙ্গলবার রাতে খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, জিসানের বাবা তার ছেলের যে বর্ণনা দিয়েছিল ঢামেকের মর্গে তা লাশের বর্ণনার সাথে মিলে যাচ্ছিল। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মর্গে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন মোফাজ্জল হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা জিসানকে উদ্ধারের সাধ্যমত চেষ্টা করেছিলাম, শুক্রবার জিসানের সর্বশেষ অবস্থান ছিল খিলগাঁও চৌরাস্তায়।
বাড্ডা থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, সোমবার দুপুরে ঝিলে এক কিশোরের লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় লোকজন জানায়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। লাশের শরীরে ইট দিয়ে বাঁধা ছিল।
পাশের থানা এলাকায় অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধারের কথা শুনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে যায় খিলগাঁও থানা পুলিশের সদস্যরা।
এদিকে জিসান হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।