কেবল এক গ্রীষ্মেই খরচ করেছেন ২২২ মিলিয়ন পাউন্ড। কিন্তু দেয়ার বেলায় ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের নামের পাশে শুধুই শূন্যতা। ১৮ মাসে আগে চেহারা যেমন ছিল, চেলসি এখনও তাই। কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করে বদলাতে পারেননি দলের চেহারা। নামটা ল্যাম্পার্ড বলেই ধৈর্য ধরে ছিলেন চেলসি মালিক রোমান আব্রাহোমোভিচ, তাতেও ঘটল চ্যুতি। সোমবার রোমান যুগের দশম কোচ হিসেবে বিদায়ঘণ্টা বাজল চেলসি কিংবদন্তি ল্যাম্পার্ডের।
রোববার লুটন টাউনের বিপক্ষে চেলসি ৩-১ গোলে জয় পেলেও শেষ দুই সপ্তাহ ধরে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ল্যাম্পার্ডের অবস্থা ছিল নড়বড়ে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ ৮ ম্যাচের পাঁচটিতে পরাজয়ের পর মৃদু হয়ে বাঁজা শুরু করেছিল সাবেক ব্লুজ তারকার বিদায়ঘণ্টা।
বিশেষ করে দুই হাতে অর্থ ঢেলে টিমো ওয়ের্নার ও কাই হাভের্টজের মতো তরুণদের কাজে লাগাতে না পারাটাই চোখে পড়ছিল কটুভাবে। শিরোপার দৌড় দিয়ে শুরু করে পয়েন্ট টেবিলের নয়ে পড়ে থাকা, মানতেই পারছিলেন না চেলসি মালিক।
যতটা সম্ভব ক্লাবের সাবেক তারকার প্রতি সম্মান রেখে ল্যাম্পার্ডকে বরখাস্ত করেছেন আব্রাহোমোভিচ। ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব কঠিন ছিল। মালিক বা ক্লাব কেউই বিষয়টাকে হাল্কাভাবে নেয়নি। কোচ হয়ে ল্যাম্পার্ড যা অর্জন করেছেন, সেজন্য তার প্রতি আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।’
ল্যাম্পার্ডের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দারুণ সম্পর্ক ছিল রুশ ধনকুবের আব্রাহোমোভিচের। তাই ল্যাম্পার্ডকে বিদায় দিতে গিয়ে কয়েকবার ভাবতে হয়েছে বলে লিখেছেন তিনি, ‘ক্লাবকে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, সেটা এই কারণে নয় যে ল্যাম্পার্ডের সঙ্গে দারুণ একটা সম্পর্ক ছিল আমার।’
‘ল্যাম্পার্ড তার কাজ ও নীতির ব্যাপারে আপোষহীন। তারপরও ক্লাবের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করে আমার মনে হয়েছে এবার ম্যানেজার পাল্টানোর সময়।’
আব্রাহোমোভিচ আমলে দশম কোচ হিসেবে ছাঁটাই হলেন ল্যাম্পার্ড। একাদশতম কোচ হিসেবে শোনা যাচ্ছে সাবেক পিএসজি কোচ টমাস টুখেলের নাম। কিছুদিন আগেই তাকে ছাঁটাই করেছে পিএসজি। জার্মান এ কোচের সঙ্গে মৌখিক একটা চুক্তিও সারা হয়েছে চেলসির, এমন বলছে একাধিক ইংলিশ গণমাধ্যম।