পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচ মাঠে যে খুব একটা কাজে লাগে না, তা প্রমাণ করে ১৬ বছর পর পাকিস্তানকে ৭৯ রানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে তামিম আর মুশফিকের জোড়া শতক বড় সংগ্রহ এনে দেয় টাইগারদের। মাশরাফির অনুপস্থিতি বুঝতে না দিয়ে বল হাতে তাসকিন আর আরাফাত সানি কাঙ্খিত জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের এই জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ , প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ।
পাকিস্তানি অধিনায়ক আজাহার আলি দলকে নেতৃত্ব দিতে এসে ব্যাট হাতে ৭২ রান করে ভালই লড়াই করেছেন। অধিনায়কের দেখা পথে হারিস সোহেলের ৫১ রান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৬৭ রান পরাজয় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। এছাড়া সব পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আসা যাওয়ার মধ্যে থেকে পরাজয় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
তাসকিন আহমেদ এবং আরাফাত সানী উভয়েই তিনটি করে উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে বিরাট ব্যবধানে হারানোর পথে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও রুবেল হোসেন এবং সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
১৬ বছর আগের জয়ের স্মৃতি নিয়ে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে টাইগারদের দ্বিতীয় সারির দলের সাথে পাকিস্তানের পরাজয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল বাংলাদেশ।
আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার জায়গায় আজ বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে দেন সাকিব আল হাসান।
ট্রফি উন্মোচনের দিনে সাকিবের সেই ‘সিরিজ জয়ের টার্গেট’ নিয়ে খেলতে নামার আত্নবিশ্বাস সত্য হবার পথে একটু এগিয়ে গেলো টাইগাররা।
বিসিবি একাদশের সঙ্গে হারার আগে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তান জাতীয় দলের একমাত্র পরাজয় ছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে।