শৈত্যপ্রবাহের কারণে সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীদের কোন ওষুধের ঘাটতি পড়বে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, রোগীদের সঠিকভাবে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছি। শীতকালে যে ধরনের ওষুধ বেশি প্রয়োজন হয় সেগুলো পাঠানো হয়েছে এবং আমাদের কাছে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। কোন ওষুধের ঘাটতি হবে না।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জাতীয় কার্যক্রম বিষয়ে জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, শীতার্ত মানুষ যাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সঠিকভাবে সেবা পায়, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সারাদেশের সকল পর্যায়ের হাসপাতালে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে তরুণ সমাজকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ দম্পতির বিনামূল্যে গর্ভস্থ ভ্রুণ পরীক্ষা করা এবং থ্যালাসেমিয়া রোগীর জাতীয় রেজিস্ট্রি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে থ্যালাসেমিয়া থাকবে না বলে কার্যক্রমের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জরিপ করে জানা গেছে থ্যালাসেমিয়া বাংলাদেশে একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। দেশে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ অজ্ঞাতসারে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। প্রতিবছর ৭ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নেয়। বর্তমানে রোগী সংখ্যা ৬০ হাজার।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেইন উপস্থিত ছিলেন।