ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চর জহিরউদ্দিনে বসবাসকারী প্রায় ২০ হাজার মানুষ বছরের পর বছর ধরে পাচ্ছেনা স্বাস্থ্যসেবা ও বিশুদ্ধ পানি।
কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয় নেয়ার জন্য নেই আশ্রয় কেন্দ্র, চলাচলে নেই রাস্তাঘাট। জরুরি চিকিৎসায় নৌকাই একমাত্র ভরসা তাদের।
স্থানীয়রা বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে মেঘনার বুকে জেগে উঠে চর জহিরউদ্দিন। ধীরে ধীরে সেখানে বসতী স্থাপন করতে থাকে নদীভাঙ্গা মানুষ। গড়ে উঠে নতুন জনপদ। কিন্তু এখনো সেখানে গড়ে উঠেনি স্থায়ী বসবাসের পরিবেশ। প্রতিদিন বিভিন্ন ঘাট থেকে কয়েক হাজার মানুষ আসা যাওয়া করে তজুমদ্দিন উপজেলা সদরে। চলাচলের বাহন ৬টি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকা। যাতে সময় লাগে ২ঘন্টা। নৌকা ছাড়ার নির্দিষ্ট কোনো সময়ও নেই।
উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৫টি ও মলংচরা ইউনিয়নের ৮টি নিয়ে দু’টি ইউনিয়নের মোট ১৩টি ওয়ার্ড রয়েছে এ চরে। রয়েছে কিছু গুচ্ছ গ্রামও। কিন্তু মিলছে না ভালো রাস্তাঘাট, নেই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা বা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা।
অনেকে বিশুদ্ধ পানির অভাবে নোনা পানি পান করে বেঁচে আছেন। তাদের দাবি জরুরিভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা ও বিশুদ্ধ পানি।
জীবনযাপনের নূন্যতম সুবিধা পাওয়ার দাবি জানিয়েছে চর জহিরউদ্দিনের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ।
আরও বিস্তারিত দেখুন হারুন উর রশীদের রিপোর্টে-