ইউপি নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার কারণে স্থগিত হওয়া টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় আকালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগামীকাল সোমবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে৷ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে কেন্দ্রটিতে ৮১ জন পুলিশ সদস্য ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি এবং র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ( ডিবি) ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।
এ তথ্য জানিয়েছেন ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান।
ইসরাত জাহান বলেন, ভোট কেন্দ্রে অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণই আমাদের মূল লক্ষ্য। ভোটারদের মাঝে বিরাজ করছে নানা উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ আর আতঙ্ক। একটি কেন্দ্রে নির্বাচন হওয়ায় পুরো উপজেলাবাসীর নজর এখন আকালুর দিকে।
ওই কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৩২ জন। ৭টি বুথে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জয়ের ব্যাপারে তিনজন প্রার্থীই আশাবাদী বলে জানিয়েছেন তারা।
এ ইউনিয়নে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো.রফিকুল ইসলাম রফিক পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম(সরকার শরীফ) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯ ভোট ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রহিজ উদ্দিন আকন্দ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৫২৭ ভোট পেয়েছেন। ৯টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ১ হাজার ১৫৪ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মো. শরিফুল ইসলাম (সরকার শরিফ)।
নির্বাচনের বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও এলাকায় যাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সেজন্য কেন্দ্রে ছাড়াও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও ডিবির স্ট্যান্ডবাই টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে৷ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমা সুলতানা জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারে তার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে অলোয়া ইউনিয়নের আকালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট প্রদানকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থক ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার আনোয়ার হোসেন।