বাংলাদেশের সেফটি নেট কর্মসূচির উন্নয়নে আরও ২শ’ ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিবে বিশ্বব্যাংক। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের চুক্তি সাক্ষর হয়।
ইআরডির সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিও ফান তাদের স্ব-স্ব পক্ষে এই চুক্তিতে সাক্ষর করবেন।
এই ঋণের অর্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতাধীন ‘সেফটি নেট সিস্টেমস ফর দ্য পুওরেস্ট (এসএনএসপি)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যবহার করা হবে।
প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিল। পরে টিএপিপি সংশোধন করে তা ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বিশ্বব্যাংকের সহযোগী ঋণদান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (আইডিএ) এই ঋণ দিচ্ছে। সুদমুক্ত এই ঋণ ছয় বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তবে শুধু শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে।
সরকার সারা দেশে দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র লোকদের সহায়তা দিতে সামাজিক কর্মসূচি হিসাবে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি), কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), টেস্ট রিলিফ (টিআর), গ্রান্ট রিলিফ (জিআর) এবং ভিজিএফ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। বাস্তবায়নাধীন এসব সেফটি নেট কর্মসূচিতেই বিশ্বব্যাংক অর্থ সহায়তা করছে।
দেশের ৯০ লাখ দরিদ্র লোক এই কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের এই অর্থ সহায়তায় বাস্তাবায়নাধীন কর্মসূচিগুলোর মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।