অমর একুশে বই মেলায় লেখক, প্রকাশকরা সঙ্গত কারণ দেখালে তাদের বিশেষ নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। সূর্যাস্তের পর কাউকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকতে দেবে না তারা। ঢাকার পুলিশ কমিশনার বলেছেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল টার্গেট কিলিং করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
অমর একুশে বই মেলা শুরুর আগের দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের ব্রিফিং করেন। এতে জানানো হয়, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে মেলা এবং আশপাশের এলাকায়।
টিএসসি সড়ক দ্বীপ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত এলাকায় বন্ধ থাকবে যানবাহন চলাচল। ছয়টি ওয়াচ টাওয়ারসহ আড়াইশ’ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় সন্দেহভাজনদের আসা-যাওয়া পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টার পর কাউকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান করতে দেবে না পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি একটি গোষ্ঠী টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এটা রুখতে আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।
হুমকির মুখে থাকা ব্লগার, লেখক ও প্রকাশকদের প্রয়োজনে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, অনেকে জিডি করেছে, অনেকে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছে। আমরা বিভিন্নভাবে তাদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। লেখক, প্রকাশ বা যেকোনো ব্যক্তি যদি মনে করেন প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্যভাবে তার নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে, তাহলে তিনি আমাদের দুটি কন্ট্রোল রুমে গিয়ে জানাতে পারবেন।
অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় থাকবে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং বিশেষ বাহিনী সোয়াট।