শরণার্থীদের স্কুল এবং শিক্ষকদের পেছনে যে অর্থের প্রয়োজন তার মাত্র ৩৭ শতাংশ পাওয়া যায় দাতাদের কাছ থেকে। শিশুদের শিক্ষাব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার ফাঁক পূরণ করতে জরুরি ভিত্তিতে বছরে কমপক্ষে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার দরকার।
সম্প্রতি প্রকাশিত মালালা ফান্ডের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
যুদ্ধ-সংঘাতে ঘরছাড়া লাখ লাখ সিরিয়ান শিশুদের শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানে শিশুশিক্ষা এবং তাদের জন্য অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে কাজ করছেন তিনি। এছাড়াও বর্তমানে শরণার্থী শিশুদের সমস্যা নিয়েও প্রচারণায় নিয়োজিত মালালা।
মালালা ফান্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার ঘরহারা ৪০ লাখেরও বেশি শিশুর প্রায় অর্ধেকই স্কুলে যেতে পারছে না। এই প্রজন্মটি ‘হারিয়ে যাওয়ার’ ঝুঁকিতে আছে বলে মন্তব্য করেন মালালা।
বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ান শরণার্থী কিশোরীদের মধ্যে অনেকেরই কম বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে কৃষিকাজ বা কলকারখানায় কাজে যোগ দিচ্ছে। এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।
মালালা সতর্ক করে বলেন, শিশুদের যে সময় থেকে ডাক্তার, শিক্ষক ও প্রকৌশলী হওয়ার পথে এগোনোর কথা ঠিক সেই সময়টাতেই এই শরণার্থী শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আগামী সপ্তাহে লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য সিরিয়া কনফারেন্সকে সামনে রেখেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে মালালা ফান্ড।
সিরিয়ান শরণার্থী শিশুরা যে এলাকায় আছে যেনো সেই এলাকার স্কুলে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে লেখাপড়া শুরু করতে পারে সে বিষয়ে ওই কনফারেন্সে দাতাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে।