সিরাজগঞ্জে নাশকতার মামলায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১৫ নেতাকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও এ মামলার অন্য ১৩ আসামীর প্রত্যেককে ৫ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩২ জনকে খালাস দেন আদালত।
মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামী খোকসাবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি মিজানুর রহমানসহ ২৫জন আসামী পলাতক রয়েছেন।
যারা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়েছেন; সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আবু সাইদ সুইট, সদর থানার চক ব্রাহ্মণগাঁতী গ্রামের মিজানুর রহমান, খলিশাকুড়া গ্রামের কাইউম মুন্সি, খলিশাকুড়া খিচুড়ি পাড়া গ্রামের মোকলেসুর রহমান, রিয়াজ হাসান রাজু, চন্দ্রকোণা গ্রামের চাঁন মিয়া শেখ, শাহ আলম, চর ছনগাছা গ্রামের সুমন, হামিদ, ঘোড়াচড়া এলাকার মোমিন, নতুন ভাঙা বাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার সবুজ, জারিলা পোড়াবাড়ি এলাকার আনিসুর রহমান, পূর্ব মোহনপুর এলাকার আব্দুল আলিম ওরফে ডাকাত আলিম, বাবু ওরফে ডাকাত বাবু ও ধানবান্ধি জেসি রোড এলাকার মোতালেব ওরফে তালেব।
পাঁচ বছর করে সাজাপ্রাপ্তরা হলেন; শিলন্দা এলাকার শফি, হোসেনপুর বউ বাজারের হাকু, আমলা পাড়ার আলমগীর আলম ওরফে প্যাটেল আলম, দৌলতপুর খোকশাবাড়ির জুড়ান আলী, একডালা শহর এলাকার লুৎফর ভূইয়া, পুরাতন শৈলাবাড়ির বাবুল শেখ, হাট সারটিয়ার সানোয়ার হোসেন, গাছাবাড়ির আলেক চাঁদ, বাইতারার ইসমাইল হোসেন, খোকসাবাড়ি হাটখোলার মোস্তাকিম, আলমগীর হোসেন, ধানবান্দি জেসি রোডের জিয়া হাসান ওরফে জন ওরফে জনি ও মেহেদী হাসান পাপ্পু।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আসামীরা নাশকতা সৃষ্টির জন্য সিরাজগঞ্জ থানার ফকিরতলা এলাকার সরকারি বেইলী ব্রিজে ৩টি পাটাতন উপড়ে ফেলে। এ সময় পরপর কয়েকটি ককটেল ও হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে।
এ ঘটনায় ওই দিনই সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন। এতে ৪০ জনকে আসামী করা হলেও ২০১৪ সালের ৩ জুন মামলার অভিযোগপত্রে আসামী করা হয় ৬০ জনকে।
২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু।