অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটিংয়ে ভরাডুবির কারণ ‘অজানা’ বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কাছে। পুরো দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সে খোদ অধিনায়কও বিস্মিত। স্বীকার করেছেন সামর্থ্যের একশ ভাগের ১০ ভাগও দিতে পারেননি মাঠে।
পুরো সিরিজেই স্বাগতিক ব্যাটারদের অন্ধকারে ডুবে থাকা অবাক করেছে জ্যোতিকে। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কিপার-ব্যাটার বললেন, ‘১০ শতাংশও না। কারণ নিজেও টোটালি সারপ্রাইজড। কারণ গত ৬ মাসে যেভাবে ক্রিকেট খেলেছি, এটা একেবারেই অমন না। পুরো দল ব্যর্থ। দু-একটা দিকে ভুল হলে তবুও মেনে নেয়া যায়। কিন্তু পুরো দল ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলছে। মনে হচ্ছে যে ব্যাকফুটে রাখছে, মনে হয় যে সামর্থ্যের ১০ ভাগও খেলতে পারিনি।’
৯৫, ৯৭, ৮৯। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের স্কোর। শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে আরেকবার অন্ধকারে ডুবে ছুঁতে পারেনি তিন অঙ্ক। আরও অল্পতে গুটিয়ে যেতে পারত টিম টাইগ্রেস। ৬৩/৯ থেকে সুলতানা খাতুন ও মারুফা আক্তারের লড়াইয়ে ৮৯ রান অবধি পৌঁছায় বাংলাদেশ। দশম উইকেটে আসা ২৬ রান স্বাগতিক ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শেষ হয়েছে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে। হেসেখেলে টানা তিন ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের হারাল অ্যালিসা হিলির দল। সিরিজজুড়ে বিন্দুমাত্র লড়াই জমাতে পারেনি টিম টাইগ্রেস। হতে হয়েছে বিধ্বস্ত। ব্যাটিংয়ে অসহায় আত্মসমর্পণে জ্যোতির দলের নিবেদন হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। রোববার তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে নামবে দুদল।
ভারত, পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ক্রিকেট খেলার পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে কেন বিধ্বস্ত হতে হল সে উত্তর নেই জ্যোতির কাছে। আছে ম্যাচে নিজেদের প্রয়োগ নিয়ে হতাশা।
‘‘অবশ্যই পুরো দল অনেক হতাশ। সবাই আসলে এমন আশা করেনি। আমরা নিজেরাও আশা করিনি, এতটা বাজে খেলব। দ্বিতীয়ত, আমাদের ইন্টেন্টের অভাব তো অবশ্যই বলবো। প্রতিটা দিন টপ-অর্ডার যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাদের থেকে আমরা পাইনি। তারা মাঠে থাকতে পারেনি, থাকলেও রান করতে পারেনি। জুটি গড়ার দিকে কারও কোনো মনোযোগ ছিল না। এমন মনে হচ্ছিল যেন, অন্যদের দিকে দায়িত্ব ঠেলে দেয়া হচ্ছে যে, ‘আমি পারিনি, তুমি করো।’ পুরো জিনিসটা আসলে দলের জন্য নেতিবাচক।’’
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৯০ রানের সহজ লক্ষ্যে সফরকারীরা পৌঁছায় ১৮.৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে।