বছরের শুরুতেই রীতিমত ইতিহাস গড়লেন দুই ভারতীয় নারী। দীর্ঘদিনের পুরনো সংস্কার ও সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে ঋতুমতি মহিলা হয়েও প্রথমবারের মতো সাবারিমালা মন্দিরে প্রবেশ করেন তারা।
তাদের বয়স ৫০ বছরেও কম। এতো দিন অল্প বয়সী ঋতুমতি কোন মহিলার কেরালার সাবারিমালা মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। তবে কিছুদিন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের এক রায়ে সকল বয়সের মহিলাদের জন্য মন্দিরের ভেতরে প্রবেশের পক্ষে রায় দেয়।
কিন্তু ধর্মীয় গোষ্ঠিগুলোর বাধার মুখে তা করা সম্ভব হচ্ছিল না এতদিন।
মন্দিরে প্রবেশ করা এই দুই মহিলার নাম বিন্দু ও কংকা বলে জানা গেছে । তাদের বয়স ৪২ ও ৪৪ বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিন্দু বলেন, ‘আমরা খুব সকালে এসে এই মন্দিরে প্রবেশ করি এবং প্রতিমা দর্শন করে বের হয়ে যাই’।
এদিকে মহিলা প্রবেশ করায় মন্দিরটি অপবিত্র হয়েছে বলে দাবি পুরোহিতদের। তাই আপাতত মন্দির বন্ধ রেখে চলছে শুদ্ধি করনের কাজ।
এদিকে কেরালার এই মন্দিরে মহিলাদের এই প্রবেশকে একটি ‘মাইলফলক হিসেবে দেখছেন কেরালার প্রধানমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান।
উল্লেখ্য শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কেরালার বিখ্যাত সাবারিমালা মন্দিরে ঋতুমতী নারীর (১০ থেকে ৫০ বছর বয়স) প্রবেশ একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল। স্থানীয়দের বিশ্বাস, ওই মন্দিরের উপাস্য দেবী আয়াপ্পা একজন চিরকুমারী এবং পিরিয়ড হওয়ার বয়স হয়েছে এমন সব নারী ‘অপবিত্র’।
এ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের দেয়া রায়ে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নারী উপাসকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়।