লাল বলে সাকিব আল হাসানের নিত্যসঙ্গী তাইজুল ইসলাম। কিন্তু সাদা বলে গড়ে ওঠেনি তেমন কোনো জুটি। বাঁহাতি স্পিনে তাই নিঃসঙ্গ থেকেছেন। ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সংস্করণে তার সঙ্গী কিংবা বিকল্প একজনকে অনেকদিন ধরেই খুঁজছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। কিন্তু আশীর্বাদ হয়ে আসছে না কেউ।
অনেক স্পিনারকে দিয়েই চেষ্টা করা হয়েছে। কেউই প্রত্যাশার মাত্রা স্পর্শ করতে পারেননি। আরাফাত সানি, সানজামুল ইসলাম, মোশাররফ রুবেল, নাজমুল ইসলাম একনাগাড়ে খেলে যেতে পারেননি। শেষমেশ টেস্ট ক্রিকেটার হয়ে যাওয়া তাইজুলকে দিয়েও চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সাদা বলে আশার প্রদীপটা জ্বালাতে পারেননি।
সাকিবের যোগ্য সঙ্গীর সংকট স্বপ্ন দেখাচ্ছে ১৮ বছরের তরুণ বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদকে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রাখা এ স্পিনার ঘরোয়া লিগে ভালো করে আসতে চান জাতীয় দলে। চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে জানালেন স্বপ্নের কথা।
‘জাতীয় দলে যেন ১০ বছর খেলতে পারি সেভাবে ভাবছি। দেশের জন্য অবদান রাখার স্বপ্ন তো দেখিই। ঘরোয়া লিগ নিয়েই ভাবছি এখন। ধাপে ধাপে আগাতে চাই। এখন যেমন প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ভাবনা। দেশের পরিস্থিতি যদি ভালো হয়, খেলা মাঠে গড়ায়, তাহলে কীভাবে ক্লাবের জন্য ভালো কিছু করা যায় সেটি ভাবছি। ভালো হতে হতে যদি জাতীয় দলে ডেব্যু হয়, এমনভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে চাইব যেন হারিয়ে যেতে না হয়।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে বিকেএসপির এ বাঁহাতি স্পিনার ২২ উইকেট নিয়ে নিজেকে মেলে ধরেন। এবার শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে একটি ম্যাচ খেলার পরই লিগ স্থগিত হয়ে যায়। মোহামেডানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
এপর্যন্ত ১৪টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা হাসানের উইকেট ২৩টি। ইকোনমি চোখে লাগার মতো, ৩.৭৮। হাত ঘোরালে উইকেট পাচ্ছেন, রানেও আটকে রাখছেন ব্যাটসম্যানদের। পরিসংখ্যানে প্রতিফলন ঘটছে সম্ভাবনার।
বিকেএসপির গণ্ডি পেরিয়ে পেশাদার ক্রিকেটে প্রথম সুযোগেই আলো ছড়িয়ে সম্ভাবনার পথকে অনেক প্রশস্ত করেছেন হাসান। নিজেকে রেখেছেন কক্ষপথেই। সুযোগ হয়েছে জাতীয় দলের স্পিন বোলিং পরামর্শক ড্যানিয়েল ভেট্টরির সঙ্গে সেশন করার।
সময়ের সঙ্গে এগিয়ে গেলে বাঁহাতি স্পিনে হাসানই হতে পারেন সাকিবের সঙ্গী কিংবা বিকল্প। বাংলাদেশ দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছেন কক্সবাজারের এ তরুণ।