কাউন্টার টেররিজমের প্রধান থাকাকালীন সময়ে সকল সফলতা নিজ টিমের আর ব্যর্থতা নিজর ওপর চাপালেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
আজ রোববার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপ সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্বে) মনিরুল ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম প্রধান) মনিরুল ইসলাম এসবি প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মীর শহীদুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
সংবাদ সম্মলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিটিটিসিতে যোগদান করি। পাঁচ বছর আমি সেখানে কাজ করেছি। এখন সরকার মনে করছে যে অন্য জায়গায় গেলে আমি হয়তো আরও ভালো করবো সে কারনে আমাকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) বদলি করা হয়েছে। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, যেহেতু আমি আমার সহকর্মীদের নিয়েই পাঁচ বছর এক জায়গায় কাজ করেছি সেক্ষেত্রে দুঃখ হচ্ছে, ভারাক্রান্ত হচ্ছি। আবার সরকার যেভাবে মনে করেছে ওখানে আমি আরও ভালো কাজ করবো সেটি ভেবেও আনন্দ হচ্ছে। আর আমিতো বাংলাদেশ পুলিশেই আছি, কাছাকাছিই আছি। স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাজও একটু ডিটেইল, সিটিটিসির সাথে কাজের ধরণেও অনেকটা মিল আছে।
সিটিটিসিতে আপনি সফল নাকি ব্যর্থ? জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, ‘হলি আর্টিসান ঘটনার পর সিটিটিসি অনেকগুলো অপারেশনের মাধ্যমে জঙ্গি দমন ও জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছে। তবে এগুলোর কোনটিই আমার একক কৃতিত্ব নয়, আমার টিমে যারা কাজ করেছে সফলতাগুলো সকলের, সফলতা বাংলাদেশ পুলিশের। এছাড়াও আমরা অনেকক্ষেত্রে সফল হয়েছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে ব্যর্থ হইনি সেটি নয়। সফলতা যেগুলো হয়েছে সেগুলো আমার টিমের, ব্যর্থতা যেগুলো হয়েছে সেগুলোর দায় ব্যক্তিগতভাবে আমি দিচ্ছি।‘
মনিরুল ইসলাম ১৯৯৫ সালে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে এএসপি হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি গোয়েন্দা শাখায় নয় বছর এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সিটিটিসির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কর্মকর্তা। তিনি ২০০৯ সালে উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা, দক্ষিণ) হিসেবে ডিএমপিতে যোগ দেন। এরপর যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে ডিএমপিতে চাকরি করেন। জঙ্গিবাদ দমনে তার ভূমিকা প্রশংসা পেয়েছে।
মনিরুল ইসলাম ১৯৭০ সালের ১৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্রিটিশ আইনে স্নাতক পাস করেন।