সত্তর দশকের গ্রামীণ গল্প প্রধান সাদাকালো সিনেমা ‘সুজন সখী’। দারুণ প্রেমের এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। যেখানে সুজন চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা ফারুক ও সখী চরিত্রে কবরী।
এরইমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ‘সুজন সখী’র কবরী। অন্যদিকে শারীরিক নানান জটিলতা নিয়ে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ‘সুজন’ খ্যাত নায়ক ফারুক।
তার অবস্থা এতোটাই জটিল যে, এখনো ‘সখী’ খ্যাত সহ-অভিনেত্রী কবরীর মৃত্যু সংবাদটি জানেন না!
মার্চের শুরু থেকে তিনি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছেন ফারুক পুত্র রওশন পাঠান শরৎ।
বৃহস্পতিবার চ্যানেল আই অনলাইনকে ফারুক পুত্র বলেন, বাবাকে এখনো কবরী আন্টির মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়নি। সেই পরিস্থিতি নেই। তার অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও সুস্থ নন।
তিনি জানান, দিন রাতের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটে ফারুকের। উঠে বসতে পারেন না। তবে আগের মতো অচেতন নয়। আইসিইউ-তে রাখা হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন।
এ অবস্থায় কবরীর মৃত্যুর সংবাদ জানানোর মতো কোনো পরিস্থিতি নেই বলেই জানানো হয়নি। বললেন, ফারুক পুত্র শরৎ।
তিনি বলেন, মার্চে যে অবস্থা ছিল তাতে আমরা বাবাকে নিয়ে আশঙ্কায় ছিলাম। তবে এখন আশঙ্কা অনেকটা কেটে গেছে। প্রতিদিনই তার মুভমেন্ট ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে খুব বড় ইম্প্রুভমেন্ট হচ্ছে তা নয়। এখনো উঠেন নাই তবে মাঝেমধ্যে তাকিয়ে দেখেন। প্রেসার, হিমোগ্লোবিন এবং ব্রেইনে যেসব সমস্যা ছিল সবকিছু ডাক্তারের নিয়ন্ত্রণে।
ফারুক পুত্র বলেন, তাকে কয়েকবার ডাকলে একবার সাড়া দেন। তাকিয়ে থাকেন। যদি শরীরে নাড়া দেয়া হয় কিংবা সুড়সুড়ি দেয়া হয় তাহলে তিনি হঠাৎ একটু নড়ে উঠেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এভাবেই চিকিৎসা চালাতে হবে। কবে সুস্থ হবেন নির্দিষ্ট কোনো সময় দেয়া হয়নি। তবে মে মাসের ৪ তারিখ তার দুইমাস সেখানে চিকিৎসা নেয়া পূর্ণ হবে।