কম্বোডিয়ার গণহত্যা নিয়ে আঞ্জেলিনা জোলির নতুন সিনেমা ‘ফাস্ট দে কিল মাই ফাদার ‘। যেখানে একজন মেয়ে চোখের সামনে তার বাবাকে হত্যার নির্মমতা তুলে ধরেছেন। কিন্তু ছবিতে অভিনেতাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে তার সিনেমাটি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক্ষেত্রে শিশুদের মানসিকভাবে নিপীড়ন করেছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, এ ধরনের প্রতিবেদন নিয়ে বেশ হতাশ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সাথে বেশ অবাকই হয়েছেন তিনি।
আসলে তেমন কিছুই হয়নি বলে দাবি করেন জোলি। বলেন, ‘শিশুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য সব কিছুই করা হয়েছিল সিনেমাটিতে। একেবারে ছবির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত।’
অভিযোগ আছে ছবিটির জন্য এমন একজন শিশুকে খোঁজা হচ্ছিল, যে ভয়াবহ বাস্তবতার মধ্য দিয়ে গেছে। আর এ জন্য একটি গেমসের আয়োজন করেছিলেন তার কাস্টিং ডিরেক্টর। তারা একটি টেবিলের উপর কিছু টাকা রেখে দিত এবং শিশুটিকে জিজ্ঞেস করতো এই টাকা দিয়ে সে কী করতে চায়? শিশুরা এরপর মিথ্যে বলতো। পরে শিশুটির কাছ থেকে জোর করে টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হত।
কিন্তু যে মেয়ে শিশুটিকে চরিত্রটির জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল, সেই সারিউম শ্রে’র ক্ষেত্রে ঘটেছিল ব্যাতিক্রম। তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় টাকাগুলো কী করবে? সে উত্তর দিয়েছিল যে, তার দাদা মারা গেছে। তার একটি সৌধ নির্মাণ করার জন্য তাদের পর্যাপ্ত টাকা নেই।
জোলি বলেন, শিশুদের কাছ থেকে সত্যি সত্যি টাকা কেড়ে নেওয়ার খবরটি ভুয়া। প্রকৃতপক্ষে তেমন কিছুই ঘটেনি।