আজই মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে, সময় হাতে আর ২৫ মিনিটের মতো। অথচ তখনো নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার লাইনেই দাঁড়িয়ে!
এমনটাই ঘটেছে আজ দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে।
এনডিটিভি জানায়, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সোমবারই আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে তার প্রার্থিতার মনোনয়নপত্র দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু ঐতিহাসিক বাল্মিকী মন্দির থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘ রোডশো শেষ করতে করতেই খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই সোমবার আর ফর্ম পূরণ করা হলো না তার।
ঠিক করেছিলেন, মঙ্গলবার শেষ দিন হলেও সকালেই গিয়ে দিল্লির জামনগর হাউজে নির্বাচন অফিসে গিয়ে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করে দেবেন তিনি।
কিন্তু শেষ দিনে কেজরিওয়াল সকালে পৌঁছানোর আগেই কোত্থেকে যেন শ’খানেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এসে ভিড় জমালেন নির্বাচন অফিসে! বিশাল লাইনে সিরিয়াল নম্বর নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে সময় শেষের দিকে, তাও তার সামনে মনোনয়নপত্র দাখিলের লাইনে অপেক্ষারত অন্তত আরও অর্ধশত স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক ফাঁকে নিজের কাজটা হয়তো সেরে আসতে পারতেন। কিন্তু তা না করে প্রায় সারাদিনই লাইন ধরে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে অপেক্ষা করলেন তিনি।
উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী নিজের ডাক পড়ার অপেক্ষায় বসে থাকতে থাকতে একটি টুইট পোস্ট করলেন। টুইটবার্তায় তিনি লিখলেন: ‘আমার মনোনয়ন জমা দেয়ার অপেক্ষায় আছি। আমার টোকেন নম্বর ৪৫। অনেক মানুষ এখানে অপেক্ষা করছেন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য। আমি খুবই আনন্দিত যে এত বেশি মানুষ গণতন্ত্রে অংশ নিচ্ছেন।’
কেজরিওয়াল টুইট করেছিলেন স্থানীয় সময় দুপুর ২.৩৬ মিনিটে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় বিকেল ৩টা।
এএপি নেতা সৌরভ ভারদ্বজ এনডিটিভি’কে কেজরিওয়ালের লাইনে অপেক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলেও বেশিরভাগেরই নাম প্রস্তাবকারী নেই, যা মনোনয়ন দাখিলের জন্য বাধ্যতামূলক।
Waiting to file my nomination. My token no is 45. There are many people here to file nomination papers. Am so glad so many people participating in democracy.
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) January 21, 2020
অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই বলেছেন, তারা লাইন ছাড়া কেজরিওয়ালকে কিছুতেই ভেতরে ঢুকতে দেবেন না। আরেকজন বলেন, তিনি নিজে তো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফর্ম জমা দেবেনই, প্রার্থী হওয়ার জন্য সঙ্গে আরও জনা তিরিশেক লোক নিয়েও এসেছেন তিনি। তারাও সবাই আবেদনপত্র জমা দেবেন।
এএপি’র অনেকে ধারণা করছেন, কেজরিওয়ালকে দেরি করানোর জন্যই শেষ দিনে এত বেশি মানুষ নির্বাচন অফিসে জড়ো হয়েছেন ফর্ম জমা দেয়ার জন্য, যাদের বেশিরভাগই হয়তো এমনিতে প্রার্থিতার আবেদন করতেন না।
অবশ্য জামনগর হাউজ থেকে জানানো হয়েছে, ৩টার মধ্যে যারা অফিসের ভেতর ঢুকতে পারবেন তাদের সবার ফর্মই নেয়া হবে। তাই দুশ্চিন্তার কারণ নেই।