লাইসেন্সবিহীন ও বীমাবিহীন চালকদের দ্বারা যাত্রীসেবা দেয়া বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাপ ভিত্তিক ট্যাক্সি সেবা প্রতিষ্ঠান উবারের লাইসেন্স বন্ধ করছে লন্ডন কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে উবারের লাইসেন্স নবায়ন করতে না দিতে সিদ্ধান্ত নেয় লন্ডন ট্রান্সপোর্ট অথরিটি। উবারের নবায়ন বাতিলের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৮ সালের জুনে উবারকে ১৫ মাসের জন্য লাইসেন্স অনুমোদন দেয় বিচারক। মেয়াদ আর না বাড়ানোয় ওই পনের মাস পেরিয়ে সোমবারই শেষ হচ্ছে উবারের চলতি লাইসেন্সের মেয়াদ।
লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে লন্ডন ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বলছে, উবারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের আইন ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে যা যাত্রীদের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। ভবিষ্যতেও এই ধরণের ঘটনা পুনরায় ঘটবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় প্রতিষ্ঠানটি।
উবারের সিস্টেমের পরিবর্তনের কারণে অননুমোদিত চালকরা অন্য চালকদের অ্যাকাউন্টে ছবি আপলোড করে লন্ডনে ইতিমধ্যে প্রায় ১৪ হাজারটি ট্রিপস দিয়েছে।
তবে লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উবার কর্তৃপক্ষ আপিল করেছে। এই সময়ের মধ্যেই উবার তাদের লাইসেন্স নবায়নের ব্যাপারে আশাবাদী।
লন্ডন ট্রান্সপোর্ট অথরিটির পরিচালক হেলেন চ্যাপম্যান বলেন, ‘লন্ডনে বেসরকারি ভাড়া পরিষেবাগুলির নিয়ামক হিসাবে উবার লাইসেন্সের জন্য উপযুক্ত কিনা সে বিষয়ে আজ একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।
এর আগে এ বছরের সেপ্টেম্বরে পাঁচ বছরের জন্য লাইসেন্স নবায়নের জন্য আপিল করলে মাত্র দুই মাসের জন্য অনুমতি দেয় লন্ডন কর্তৃপক্ষ। যার মেয়াদ আজকে শেষ হতে চলছে।
এদিকে, লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, লন্ডনবাসীর জন্য ঝুঁকি তৈরি হলে উবারকে ফের লাইসেন্স দেয়া হবে ভুল সিদ্ধান্ত।
সাদিক খানের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, লন্ডনে কে কত বড় শক্তিশালী, কে কত বড় তা দেখা হবে না, অবশ্যই তাকে নিয়ম মেনে চলতে হবে এটা পরিষ্কার।
এমন অবস্থায় এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবিলম্বে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উবার কর্তৃপক্ষ। তবে আদালতের রায়ে আবেদন না টিকলে ৪০ হাজার চালকের কর্মসংস্থানের টান পড়বে।