অদ্ভূত আচরণের কারণে দুইটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) রোবট বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক। যন্ত্রকে মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের উপযোগী করা এআই, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেই হতবুদ্ধ করে দিয়েছে রোবট দুটি।
আলোচনার সময় চ্যাটবোট দুটি ইংরেজি ভাষাকে নিজেদের সুবিধামতো পরিবর্তন করে নেয়, যা শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারে। এমন ঘটনা রোবট দুটির তত্ত্বাবধায়কদের বিস্মিত করে।
সামাজিক যোগাযোগের সর্ববৃহৎ মাধ্যম ফেসবুক চ্যাটবোট দুটিকে পারস্পরিক আলোচনায় বসায়। টুপি, ব্যালুন, বইয়ের মতো পণ্য লেনদেনের জন্য তারা কথা বলে। পণ্যগুলোর নির্ধারিত মূল্যও ঠিক করে দেয়া হয়। নিজেদের মধ্যে তারা কিভাবে আলোচনা করবে তাও নির্দেশ দেওয়া ছিলো। কিন্তু তাদের আলোচনা অস্বাভাবিকতায় রূপ নেয়।
বব ও এ্যালিস নামের এই দুই চ্যাটবোটের কথোপকোথন দেখুন।
এমন অদ্ভুত কথোপকোথন তারা শেষও করে, যাতে তারা একটি রীতি মেনে চলে। কিন্তু এই আলোচনা নির্ধারিত ফল দেয়নি।
ফেসবুক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স রিসার্চ ডিভিশনের প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, এই রোবট দুটি একেবারে মানুষের মতো আলোচনা করতে শিখেছিলো।একমাস আগে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি নিয়ে আগ্রহের জন্ম হয় এ সপ্তাহে।
ভাষার নতুন কাঠামো গড়ে তুলতে এআই’র এই প্রচেষ্টা (!) এবারই প্রথম নয়। এ বছরের শুরুতে গুগলও দেখে, তাদের ট্রান্সলেট টুল নিজস্ব ভাষা সৃষ্টি করছে। এমন আচরণে অবশ্য তারা খুশীই হয়েছিলো।
ওপেনএআই এর অপর একটি গবেষণায় দেখা যায়, এআই’কে ভাষা সৃষ্টিতে উৎসাহিত করা যায়, যাতে তারা পরস্পর যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।