শনিবার সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ২০১৮ সালের শেষ ম্যাচ খেলবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এই ম্যাচে খেলার সময় সিআর সেভেনের মনের কোনে তিনটি চ্যালেঞ্জ থাকবে।
রোনালদোর প্রথম চ্যালেঞ্জ, দলকে আরও একটি জয় উপহার দেয়া। দ্বিতীয়ত, এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে আরও একবার ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ। সেটা আবার ক্যারিয়ারের অষ্টমবারের মতো।
তবে তৃতীয়টি সবচেয়ে কঠিন। তৃতীয় চ্যালেঞ্জ লিওনেল মেসিকে স্পর্শ করা বা তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া। হাফসেঞ্চুরি করতে হ্যাটট্রিক, এলএম টেনকে স্পর্শ করতে এই ম্যাচে করতে হবে এক হালি গোল। আর বার্সেলোনা সুপারস্টারকে ছাড়িয়ে যেতে লাগবে পাঁচ গোল।
রিয়াল ছাড়ার পর ইতালিতে এক ম্যাচে রোনালদো যে সর্বোচ্চটা অর্জন করেছেন সেই বিবেচনায় এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ জুভেন্টাসে যোগ দেয়ার পর অ্যাসিস্টের হ্যাট্রটিক করলেও এক ম্যাচে দুই গোলের বেশি করতে পারেননি রোনালদো।
রোনালদোর আগেই ক্যারিয়ারের অষ্টমবারের মতো গোলের হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছেন মেসি। ২০১০-১৮’ সালের মধ্যে শুধু একবার এটি করতে পারেননি আর্জেন্টাইন তারকা। ২০১৩ সালে ৪৭ ম্যাচে ৪৫ গোল করেছিলেন মেসি।
তবে ২০১১ সাল থেকে প্রতিটি মৌসুমেই ক্যালেন্ডার ইয়ারে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন রোনালদো। মেসির হাফসেঞ্চুরি না পাওয়া ২০১৩ সালেই সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন পর্তুগিজ তারকা। ওই বছর ক্যারিয়ার সেরা ৬৯ গোল করেছিলেন রোনালদো।
২০১৮ সালে এ পর্যন্ত ৪৭ গোল করেছেন রোনালদো। জুভেন্টাসে যাওয়ার আগে রিয়ালের হয়ে ২৮, পর্তুগালের হয়ে ৬ (এর মধ্যে বিশ্বকাপে চারটি), এবং জুভ জার্সিতে ১৩ গোল করেছেন।
এই ম্যাচে কোচ অ্যাল্লেগ্রি যদি রোনালদোকে প্রথম একাদশে না নামান বা বিশ্রামে রাখেন, তাহলে আটলান্টার বিপক্ষের ম্যাচটিই হয়ে থাকবে তার বছরের শেষ ম্যাচ। ওই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমেও গোল করে নিশ্চিত হার থেকে দলকে রক্ষা করেন সিআর সেভেন।