টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার জাকিয়া সুলতানা রূপার লাশ কবর থেকে তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে রূপার ভাইয়ের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে রূপার পরিবার লাশ তুলে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া রূপার লাশ কবর থেকে তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।
পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে লাশ তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে বলেন।
ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাতে বগুড়া থেকে রূপা ময়নসিংহ ফিরছিলেন ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে। বাসটি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা অতিক্রম করলে নেমে যায় সব যাত্রী। আর এই সুযোগ নিয়ে বাসটি কালিহাতী এলাকায় পৌঁছালে গাড়ীর হেলপার ও অন্যরা তাকে গাড়ির পিছনের সিটে নিয়ে রূপাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে বাসটি মধুপুর পৌঁছালে নিহত আলো দেখতে পেয়ে রূপা চিৎকার চেচামেচি করলে তার ঘাড় মটকে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনীরা। পরে মধুপুর ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর বনের পঁচিশ মাইল এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে তার লাশ ফেলে রেখে যায় হত্যাকারীরা।
পরের দিন সকালে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হত্যা মামলা দায়ের ও লাশের পোস্টমর্টেম করে এবং কোন দাবিদার না থাকায় বেওয়ারীশ হিসাবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।