বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা তিনটি হ্যাকার গ্রুপের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন। বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাইবার আক্রমণের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এ তিনটি গ্রুপের মধ্যে একটি পাকিস্তানের এবং অন্যটি নর্থ কোরিয়ার।
বাংলাদেশ নিয়োজিত সিলিকন ভ্যালির সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই’র তদন্তে এই তথ্য মিলেছে বলে বিশ্বের বাণিজ্য সংবাদ বিষয়ক অন্যতম শীর্ষ সংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে।
তবে অন্য হ্যাকার গ্রুপটি কারা এবং কোন দেশের, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি ফায়ারআই’র তদন্তকারীরা।
ফায়ারআই’র দুজন কর্মকর্তা ব্লুমবার্গকে বলেছেন, পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়ার দুটি হ্যাকার গ্রুপ এই সাইবার চুরিতে জড়িত বলে ফরেনসিক পরীক্ষায় তারা তথ্য পেয়েছেন।
হ্যাকিংয়ের বিষয়ে কথা বলতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল ব্লুমবার্গ। তবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়া মিশনের কর্মকর্তাদের টেলিফোন এবং ইমেইল করা হলে তারাও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক-নিউইয়র্ক ফেড-সুইফট সহযোগিতা নেটওয়ার্ক
বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে একযোগে কাজ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক বা নিউইয়র্ক ফেড এবং আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট।
মঙ্গলবার রাতে সুইজারল্যান্ডে বাসেলে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে নিউইয়র্ক ফেডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক বা নিউইয়র্ক ফেডের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ডাডলি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এবং সুইফট প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত সব পক্ষই রিজার্ভের অর্থ চুরি ও অর্থ উদ্ধার– এ দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার এবং অন্যান্য কাঠামোগত নিরাপত্তার ত্রুটি নিয়ে আলোচনা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া পরস্পরের মধ্যে তথ্য বিনিময়, চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে তিনপক্ষ একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে বলে নিউইয়র্ক ফেড প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়।