রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কর্মকর্তাদের পক্ষপাতহীন থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রংপুর জিলা স্কুল অডিটরিয়ামে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোট সুষ্ঠু করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নিয়ে আলোচনা ছিল পুরো সময় জুড়ে। তবে নির্বাচন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর শঙ্কা না থাকলেও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক দৃষ্টি প্রয়োজন বলে মত দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বিএনপির।
আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ বলেন: এর আগে কোন আতঙ্ক ছিল না। এখনও কোন আতঙ্ক আছে বলে আমি মনে করি না।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন নেই সিইসির এমন অভিমতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা। তিনি বলেন: নগরবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না এ বিষয়ে শঙ্কায় আছে। সেনাবাহিনী যদি নির্বাচনে নিয়োজিত থাকে তাহলে তারা অবাধ সুষ্ঠু নিরেপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার ভরসা পায়।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন: সাধারণ মানুষ মনে করে আসলেই কী ভোট হবে? অামরা যেখানে ভোট দেবো সেটা কি সঠিকভাবে কাউন্ট হবে?
নিবার্চনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশি শক্তি প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনে আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন: আইনের বিঘ্ন ঘটিয়ে, আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না, মামলায় মোকাদ্দমায় পড়বেন না।
বিস্তারিত দেখুন এহসানুল হক সুমনের ভিডিওচিত্রে মেরিনা লাভলীর রিপোর্টে: