অনেকটা জোর করেই লুইস সুয়ারেজকে বিদায় করেছে বার্সেলোনা। ছয় মৌসুম পর ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড এখন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। বার্সা ছাড়তে কষ্ট হয়েছে সুয়ারেজের, তার বিদায়ে কষ্টের কথা গোপন করেননি প্রিয় বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ লিওনেল মেসিও।
বন্ধু সুয়ারেজের বিদায়ে বেশ আবেগী হয়ে উঠেছিলেন মেসি। সুয়ারেজের জন্য ইনস্টাগ্রামে বিদায়ী বার্তায় ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউকেও একহাত নিয়েছেন বার্সা অধিনায়ক।
মাত্র ছয় মৌসুমে ১৯৮ গোল করে ক্লাব ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যাওয়া কিংবদন্তিকে ঠিক যেভাবে বিদায় দেয়া উচিৎ ছিল, সেটা না হওয়ায় বেশ নাখোশ হন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
‘ক্লাব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবেই বিদায়টা প্রাপ্য ছিল তোমার, ব্যক্তিগত ও দলীয় শিরোপা জয়ের আনন্দের মধ্যে। যেভাবে তোমাকে ক্লাব থেকে বের করে দিল ওরা, এটা তোমার প্রাপ্য ছিল না কোনভাবেই। কিন্তু সত্যিটা হল, সাম্প্রতিক সময়ে এখানে যা হচ্ছে, তাতে আমি আর এখন কোনকিছুতেই অবাক হই না।’ ইনস্টাতে এমন লিখেছিলেন মেসি।
বার্সা ছেড়ে অ্যাটলেটিকোয় এসে ভালোই শুরু হয়েছে সুয়ারেজের। ক্লাবটির হয়ে প্রথম ম্যাচেই করেছেন জোড়া গোল। পরে জাতীয় দল উরুগুয়ের হয়ে চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এসে জয়ের প্রথম গোলটা তারই পা থেকে আসা। শুক্রবার চিলিকে ২-১ গোলে হারায় তার দল।
অ্যাটলেটিকোয় প্রথম ম্যাচেই সুয়ারেজ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাকে বুড়ো ভেবে কত বড় ভুল করেছে বার্সা। মেসির সঙ্গে মিলে তার বার্সাকে অনেককিছু দেয়ার ছিল, সেটাও চিলি ম্যাচ শেষে ইঙ্গিত করেছেন উরুগুয়ে তারকা। তার বিদায়ে প্রিয় বন্ধু মেসির হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণটা হচ্ছে, সেটি পোড়াচ্ছে সুয়ারেজকেও।
‘আমি মেসির কষ্টে অবাক হইনি। কারণ তাকে ভালো করে জানি। যে কষ্টটা আমি পাচ্ছি, সেও ঠিক একই কষ্ট পাচ্ছে।’
‘মেসি জানে ফর্মের কারণে তারা আমাকে বের করে দিয়েছে। অনেককিছুই আমার সঙ্গে ঠিকভাবে করা যেত। একসঙ্গে ছয়টা বছর, জানি বিষয়টা তাকে কষ্ট দিচ্ছে। জানি এই বিদায় আমাদের কতটা ভোগাবে।’
কেনো বার্সার প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকোয় যোগ দিলেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সুয়ারেজ, ‘আমার পরিবার চেয়েছে যেন খুশি থাকি। বার্সার কিছু খারাপ দিক হচ্ছে তারা আপনাকে অন্য ট্রেনে করে ঘরে পাঠিয়ে বোঝাবে তারা আর আপনাকে দলে রাখতে চাইছে না।’
‘এই বিষয়গুলো আমাকে কষ্ট দিচ্ছিল, আমার পরিবার দেখছিল কষ্ট পাচ্ছি। তাই সুযোগের অপেক্ষা করতে তারাই আমাকে সাহস দিচ্ছিল। যখন অ্যাটলেটিকো প্রস্তাব করল, সঙ্গে সঙ্গে তা লুফে নিয়েছি।’
‘এটা ঠিক আমাকে অনেককিছুতে মানিয়ে নিতে হবে। তবে অ্যাটলেটিকোতে সুখেই আছি।’