গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরে ঘটনার মূলহোতা হিসেবে মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
মঙ্গলবার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানায় পুলিশ।
মেজর জিয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা। তিনি সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত এবং পলাতক। তামিম চৌধুরী নিউ জেএমবি’র নেতা।
পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ মহাপরিদর্শক শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা দুটি ঘটনার তদন্ত করে বুঝেছিলাম যে তারা আরো কিছু ঘটনা ঘটাবে। পরে জানতে পারি যে, জঙ্গিদের অবস্থান মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কল্যাণপুর এসব এলাকায়। সেভাবেই আমরা অভিযান চালাই।’
“জঙ্গিদের আমরা সুযোগ দিয়েছিলাম যেন ওরা সারেন্ডার করে। কিন্তু সারেন্ডার তো করেই নি বরং পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে।”
তদন্ত শেষে খোঁজ পাওয়া মাস্টারমাইন্ডদের ব্যাপারে পুলিশের আইজিপি বলেন, ‘তদন্ত করে যারা এসব ঘটনার প্রস্তুতি নিয়েছে, পরিকল্পনা করেছে তাদের চিহ্নিত করেছি। তাদের এজাহারভুক্ত আসামীও করেছি। তারাই এই তিনটি ঘটনাই ঘটিয়েছে।’
“সেখানে জেএমবির ওল্ড ভার্সনের কিছু সদস্য আছে আর কিছু আছে নিউ ভার্সনের। তারা আইএসকে অনুসরণ করে এমন দাবি করে। এবং তাদের ধারণার বিরোধীদেরই যেমন ব্লগার অথবা যারা মাজারকেন্দ্রিক তাদেরও হত্যা করে।”
মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। তিনি ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানে প্ররোচনা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এরপর থেকে পলাতক। তাকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সূত্র জানায়, মেজর জিয়া আগে থেকেই উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আইএসের কথিত বাংলাদেশ সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন তামিম চৌধুরী।