পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বাংলাদেশ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ২০১৫ আসরে টানা দুই ম্যাচে শতক দেখেছিল। ষষ্ঠ আসরে যেয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বমঞ্চে তিনঅঙ্কের দেখা পাওয়ার মর্যাদায় নাম লেখান সাকিব আল হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শতক তুলে ধরে ফেললেন রিয়াদকেও।
বিশ্বকাপে এখন মাহমুদউল্লাহর মতো দুটি সেঞ্চুরি সাকিবের নামের পাশেও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারা ম্যাচে কার্ডিফে এক সপ্তাহ আগে ১২১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। টন্টনে সোমবার তিনঅঙ্ক ছুঁয়ে ছুটে চলেছেন দলকে জয়ের নোঙরে নিতে।
এদিন ৮৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন সাকিব। ইনিংসে ১৩ চারের মার। বিশ্বকাপে তার দ্বিতীয়, আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নবম। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্রুততম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করে আগের দ্রুততম ছিল তারই।
মাহমুদউল্লাহ গত অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ এবং পরের ম্যাচে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
টন্টনে সেঞ্চুরির আগে ২৩ রানে থাকার সময় দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ছয় হাজার ওয়ানডে রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ছুঁয়েছিলেন আড়াইশ রানের কীর্তি। তাতে এই ফরম্যাটে অনন্য ডাবলের অভিজাত ক্লাবে এখন তিনি। তার আগে যে কীর্তি ছুঁয়েছেন কেবল তিনজন, আফ্রিদি, ক্যালিস ও জয়সুরিয়া। টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সবার চেয়ে কম ম্যাচে কীর্তি ছুঁয়ে বাকিদের পেছনে ফেলেছেন।