চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় এলাকায় দশম শ্রেনীতে পড়ুয়া মারুফের রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে সিএমপির নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার মো. মঞ্জুর মোরশেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়।
শনিবার গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে। ডবলমুরিং থানার এস আই হেলাল খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
অন্যদিকে অকাল মৃত্যুতে মারুফের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মারুফের স্বজনরা জানায়, গত ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে এসআই হেলাল মারুফের মা-বোনকে লাঞ্চিত করার কারণেই মারুফ আত্মহত্যা করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, এস আই হেলাল খানের দু’জন সোর্স দশম শ্রেনী পড়ুয়া মারুফ, তার মা রুবি আক্তার ও বোন নেহাকে মারধরসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে সাদা পোশাকে এস আই হেলাল খান ঘটনাস্থলে গিয়ে মারুফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে ও ১ লাখ টাকা দাবী করে।
পরে টাকা না দিলে মারুফের মা-বোনকে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে গাড়িতে তোলে। এ ঘটনা সহ্য করতে না পেরে মারুফ বাসার ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। কেউ কেউ বলছেন, মারফকে উপর্যপুরি আঘাত করে পা ভেঙে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
ঘটনার পর ডবলমুরিং থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অনিয়ম, সাদা পোষাকে অভিযান, সোর্সের আচরণ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠে। পরে স্থানীয় জনগনের প্রতিবাদ সহ নানা কর্মসুচীর পর বরখাস্ত করা হয় এস আই হেলাল খানকে।