বাংলাদেশ টেলিভিশনের বয়স তিপ্পান্ন বছর। আর সেই দেশে বিশেষ একটি টেলিভিশন চ্যানেল ঊনিশ বছর পূর্ণ করে বিশে পা দিচ্ছে এবার। অর্থাৎ এবার তারা ভরা যৌবনে। নতুন নতুন দিগন্তে পৌঁছবার স্বপ্ন আর শপথ নিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু হবে তার। এই মুহূর্তে চ্যানেল আইয়ের চলার পথে আমার সম্পূর্ণ শুভেচ্ছা রইল।
বাংলাদেশে বৈদ্যুতীন মাধ্যমের পথচলার হিসেবে এই প্রতিষ্ঠান অনেক নবীন। ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর পথ চলা শুরু চ্যানেল আইয়ের। প্রথম দিন যে চমক দিয়ে তারা শুরু করেছিল পরবর্তীতে চলার পথগুলোতে সেটি তারা মলিন হতে দেবে না বলেই বিশ্বাস করি। বাঙালির সংস্কৃতি, বাঙালির মননকে তারা বিশ্বজনীন করে তুলতে পেরেছে কিংবা পারার পথে সেই শুভ কামনা সঙ্গে থাকছে শুভক্ষণে। প্রতিষ্ঠানটি মানুষের তথ্য-তৃষ্ণা দূর করার পাশাপাশি বাঙালির মূল্যবোধকে গর্বিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে তার অঙ্গীকারের সঙ্গে নমনীয় হবে না সেই প্রত্যাশা।
এপারে বসে ওপারের বাংলাদেশের এই চ্যানেলটিকে জন্মদিনের জন্য কটি লাইন লিখতে গিয়ে বারবার মনে পড়ছে রণাঙ্গনে বাংলাদেশের মুখ। যুদ্ধদিনের সেই বাংলাদেশ আজ আলো ছড়াচ্ছে সেই আলোর দ্যুতি হয়ে নদীমাতৃক আর সবুজে ভরা কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে। চ্যানেল আই মাটি আর মানুষের একমাত্র নির্ভরতার ক্যানভাস হয়ে বাড়তে থাকুক বারবার সেই আশীর্বাদ করছি।
দেশ গঠনের জন্য যদি কোনও বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া না যায় তাহলে টেলিভিশন চ্যানেল গড়ার মূল উদ্দ্যেশটাই নষ্ট হয়ে যায়। সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং মানব জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যেই নিত্যনতুন কর্মসূচি নিয়ে চ্যানেল আই এগিয়ে যাক।
‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’ এই কথাটি সবাইকে টান দিতে পারে সহজে। দেশের প্রকৃত ইতিহাস সংস্কৃতি এই সবকিছুরই সঙ্গে সবাই যাতে আদ্যন্ত ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই চ্যানেল আইয়ের কর্মসূচি। এর চেয়ে ভালো কাজ আর কীইবা হতে পারে। গোটা পৃথিবীজুড়ে বাংলা ভাষায় যারা কথা বলেন, তাদের সবারই পক্ষে এ এক আনন্দসংবাদ। শুভক্ষণে এটুকুই চাইছি অন্যায়ের কাছে নতজানু নয়, মানুষের পাশে থেকো, মানুষের কথা বল, মানুষের ব্রিজ হয়ে শতবর্ষ পূরণ কর।