‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ পুরস্কার জয়ের ক্ষেত্রে ভোটের ব্যবধানে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ধারে কাছেও যেতে পারেননি লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার পুরস্কারটি জেতেন পর্তুগিজ সুপারস্টার।
সাংবাদিক ও দর্শকদের দেওয়া ভোটের ৪৩.১৬ শতাংশ পেয়ে ট্রফি জেতেন রোনালদো। যেখানে মেসি পেয়েছেন ১৯.২৫ শতাংশ ভোট। আর তৃতীয় স্থান পাওয়া নেইমারের ভোট মাত্র ৬.৯৭ শতাংশ।
এবারের চেয়ে গত বছরের পুরস্কার জয়ে দুজনের ব্যবধান ছিল অনেক কম। ৩৪.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ২০১৬-এর ট্রফি জিতেছিলেন রোনালদো। সেবার মেসি পেয়েছিলে ২৬.৪২ শতাংশ ভোট।
কোচ, অধিনায়ক ও সাংবাদিক মিলে ৪৫৯ জন ভোট দিয়েছেন। এরমধ্যে ৩৪০ জনের ভোট গেছে রোনালদোর বাক্সে। ৫৫ জনের ভোট পান মেসি।
যে যত ভোট পেয়েছেন- রোনালদো ৩৪০, মেসি ৫৫, নেইমার ১৫, বুফন ৮, ক্রুস ৭, ওবামেয়াং ৬, রামোস ৬, মডরিচ ৫, সুয়ারেজ ৪, কান্তে এন’গোলো ৩, ইব্রাহিমোভিচ ২, লেভানডোভস্কি ২, নাভাস ২, নয়্যার ২, হ্যাজার্ড ১ ও হ্যারি কেন ১।
রোনালদোর মতই ভোটের বড় ব্যবধানে সেরা কোচ হয়েছেন জিনেদিন জিদান। এক্ষেত্রে ছাত্র রোনালদোর চেয়েও এগিয়ে জিজু। প্রথম হতে ফরাসি গ্রেট ভোট পেয়েছেন ৪৬.৬২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেলসি কোচ অ্যান্টনিও কন্তে পেয়েছেন ১১.৬২ শতাংশ। আর ৮.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তিননম্বর হয়েছেন জুভেন্টাস কোচ ম্যাস্সিমিলিয়ানো অ্যাল্লেগ্রি।
ভোটের ভাল রকম ব্যবধান ছিল সেরা গোলকিপার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও। ৪২.২২ শতাংশ ভোট পেয়ে ট্রফি জেতেন ইতালি ও জুভেন্টাস গোলকিপার জিয়ানলুইজি বুফন। ৩২.৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ ও কোস্টারিকা গোলকিপার কেইলর নাভাস। আর তিনে থাকা জার্মান ও বায়ার্ন মিউনিখ গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যার পেয়েছেন ১০.১০ শতাংশ ভোট।
এছাড়া ফ্রান্স ও আর্সেনাল তারকা অলিভিয়ের জিরুদ ৩৬.১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ‘গোল অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জেতেন।