২০০৮ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি। বিকেলে ঢাকার বিডিআর হেডকোয়ার্টারের শহীদ মিনারের পাশে ছোট্ট আয়োজন। প্রধান অতিথি ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন। আমরা অপেক্ষায়, কিছুক্ষণ পরই আসলেন। মেয়ের হাত ধরে গাড়ি থেকে নামলেন। আমরা সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলাম। অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছুটা দেরি। আর তখনই আমাদের কয়েকজন সাংবাদিককে নিয়ে ঘাসের উপর বসলেন। মনে হচ্ছিল দাদা আর নাতি-নাতনিদের গল্পের আসর। কাউকে সুযোগ না দিয়ে খুব কৌতুহল নিয়ে আমি জানতে চাইলাম কি হয়েছিলো সেদিন।
ঝটপট উত্তর…জিন্নাহ সাহেব বললেন, উর্দু এবং উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। আমি মনে করলাম তাতো হতে পারেনা। সাথে সাথে দাড়িয়ে বললাম নো নো। আর ওরা কিনা আমার মুখটা চেপে ধরলো। আমি কথাই বলতে পারছিলাম না। ওরা বলতে মনে হয় তিনি সেখানে থাকা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বুঝিয়েছেন। বলতে থাকলেন, এরপরতো ইতিহাস ।
আমরা আন্দোলনের পর আন্দোলন চালিয়ে গেলাম কয়েক বছর ধরে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করেই ছেড়েছি। আমাদের দাবায়ে রাখতে পারেনি তারা। বীর এই ভাষা সৈনিক বলছিলেন ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজর্ন হলের সামনে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ভাষণের মুহূর্তটি।আর মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম আমরা কয়েকজন সাংবাদিক।
তিনিসহ সেই ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগেই বাংলা ভাষা আজ মযর্দার আসনে আসীন। ২১শে ফেব্রুয়ারি আজ আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। সালাম সকল ভাষা সৈনিকদের।