করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর আজ সারাদেশের অধস্তন আদালতগুলো থেকে ১৪৪ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে এতথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে আজ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হালদা নদীর বিপন্ন ডলফিন রক্ষার নির্দেশ দেন। যেটি ছিল দেশের ইতিহাসে ভার্চুয়াল কোন হাইকোর্ট বেঞ্চের দেয়া প্রথম আদেশ।
এর আগে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দীর্ঘদিন ধরে আদালত বন্ধ থাকায় অনেক আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সোচ্চার হন। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সেই প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে “আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০” নামে গত ৯ মে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।
এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে গত ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়। যেখানে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের জন্য আলাদা আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ দেয়া হয়। এছাড়া আইনজীবীদের জন্য প্রকাশ করা হয় ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’।
এরই ধারাবাহিতায় করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক সাধারণ ছুটি ও অবকাশকালীন ছুটি বা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত, চারটি হাইকোর্ট বেঞ্চ ও অধস্তন আদালত পরিচালনার নির্দেশনা জারি করা হয়।