এশিয়া কাপের পর অল্পদিনের ব্যবধানে ভারত যুবাদের কাছে আরেকবার ধাক্কা খেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। ব্যাটিং ব্যর্থতায় এবার যুব বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে হারল টাইগার দল। ৫ উইকেটে হেরে কোয়ার্টারেই থামল শিরোপা ধরে রাখার মিশন।
ভারতকে হারিয়ে ২০২০ যুব বিশ্বকাপে প্রথম ও নিজেদের একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপাটি ঘরে তোলে টাইগার যুব বাহিনী। এবারের আসরে রাকিবুলের দল ইংল্যান্ডের কাছে হেরে শুরু করে। পরে দুই জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে আসে কোয়ার্টারে। ২০১৮ সালের পর দ্বিতীয়বার বিশ্বমঞ্চের কোয়ার্টারে ভারতের কাছে ধরাশায়ী হল লাল-সবুজের স্বপ্ন।
অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে গত আসরের ফাইনাল খেলা দুদলের লড়াই একপেশে করে নেয় ভারত। গতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১১১ রানে। যা ১১৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ভারত।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ কোনোমতে পার করে শতরান। রাকিবুল-মেহরাবদের দেয়া ১১২ রানের লক্ষ্যে নেমে রিপন মন্ডলের তোপে পড়ে ভারত।
ছোট পুঁজিতেও দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। ভারত ওপেনার হারনুর সিংকে কোনো রান করতে দেননি তানজিদ সাকিব। শুরুর ধাক্কা সামলে ৭০ রানের বড় জুটি গড়েন অংকৃশ রঘুবংশী ও সাইক রাশেদ। ৪৪ রানে রঘুবংশী ফিরলে বেশি সময় থাকতে পারেননি রাশেদও। করে যান গুরুত্বপূর্ণ ২৬ রান।
ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার পর জোড়া আঘাত হানে বাংলাদেশ। রিপনের কাছে পরাস্ত হন সিদ্ধার্থ যাদব (৬), রাজ বায়া (০)। টাইগার ডানহাতি পেসার শেষ পর্যন্ত ৯ ওভারে ৩১ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট।
শতরানের আগে ৫ উইকেট হারালেও বিপদ বাড়তে দেয়নি ভারত। অধিনায়ক ইয়াশ ধুল (২০) ও কুশল টাম্বের (১১) অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সেমিফাইনালের টিকেট কাটে গতবারের রানার্সআপ দলটি।
এদিন প্রায় সব বিভাগে নাকাল হয়েছে টাইগার দল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাজে শুরু করে টপ অর্ডার। সেই ব্যর্থতা ছড়িয়ে পড়ে মিডল ও লোয়ার অর্ডারে। ভারতের হয়ে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন রবি কুমার। ২৫ রান খরচায় দুই টাইগার ব্যাটারকে ফেরান ভিকি।
স্কোরবোর্ডে ১৪ রান তুলতেই যুবারা হারিয়ে ফেলে শুরুর তিন ব্যাটারকে। মাঝে ছোট্ট জুটির পর আবারও ধারাবাহিক ব্যর্থতা। ৫৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে শতরানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল।
সেখানে ত্রাতা হন মেহরাব-আশিকুর। দুজনের ৫০ রানের জুটিতে বাংলাদেশের রান একশ পেরিয়ে যায়। তাদের জুটি ভাঙার পর দ্রুতই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
জুটিতে শতরান পার করে মেহরাব ফেরেন সর্বোচ্চ ৩০ রান করে। আশিকুর ১৬ রান করে ফিরলে ইনিংস থামে।
২ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে ভারত। অন্য সেমিতে আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।