আর্লিং হালান্ড নাকি কাইলিয়ান এমবাপে—ভবিষ্যতের সেরা ফুটবলার কে? প্রশ্নটি অনেকটা মেসি-রোনালদোর মধ্যে কে সেরা, সেই বিতর্কের মতোই। তরুণ ফুটবলারের হিসেবে অবশ্য হালান্ডকে এগিয়ে রাখছেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। নরওয়ের ‘বিস্ময়বালকের’ বুদ্ধিতে মেতেছেন সুইডিশ এ স্ট্রাইকার।
গত দুই মৌসুম বুরুশিয়ার হয়ে নজরকাড়া পারফর্ম দিয়ে আলোড়ন তুলেছেন হালান্ড। চলতি মৌসুমে ১৩ ম্যাচে করেছেন ১৭ গোল। ট্রান্সফার মার্কেটে চাহিদার শীর্ষে এনেছেন নিজেকে। তবে অতি আত্মবিশ্বাসী হচ্ছেন না হালান্ড, এতে মুগ্ধ জ্লাতান।
‘নিজের লক্ষ্য নিয়ে ভাবে বলেই হালান্ড সেরা। সে প্রয়োজনের অধিক কিছু করে না। শুধু লক্ষ্যে দৃষ্টি রেখে এগোচ্ছে। আপনি একজন খেলোয়াড়ের ভিতর এটাই দেখতে চাইবেন।’
জ্লাতান আরও বলেন, ‘কিছু খেলোয়াড় দেখবেন যারা মনে করে, যতটুকু করছে তার চেয়েও বেশি করতে সক্ষম। এটা আসল বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। হালান্ডের ভেতর আমি দুরন্ত বুদ্ধিমত্তা দেখেছি। সে শুধু গোল করতে চায় এবং জানে সে তা করতেও পারে। এমনকি সেটা করতে বদ্ধপরিকরও হালান্ড।’
তরুণ হালান্ডের বন্দনায় মেতে ওঠা সুইডিশ তারকা ফুটবলার অবশ্য বিশ্বসেরা স্ট্রাইকারের কথায় সামনে রাখছেন এমবাপেকে। ফরাসি স্টাইকারের মাঝে দেখছেন রোনালদো নাজারিওর ছায়াও।
‘আমি মনে করি, দ্য ফেনোমেনো খ্যাত রোনালদো নাজারিওর ছায়া হতে পারেন এমবাপে। সেও (এমবাপে) তার খেলায় খুব মার্জিত।’
যদিও তরুণ খেলোয়াড়দের মাঝে সেরা কে হবেন—এমন প্রশ্নে এমবাপের থেকে হালান্ডকে এগিয়ে রাখছেন জ্লাতান। ‘আমি বলতে চাই, অনেক বড় খেলোয়াড় থাকতে পারে কিন্তু আমরা যখন তরুণ খেলোয়াড়ের কথা বলব তখন হালান্ডের নাম আসবেই।’
মাঠের খেলায় দুর্দান্ত সময় পার করছেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার জ্লাতানও। ১৪ ম্যাচে ইতোমধ্যে তিনি পেয়েছেন ৭ বার জালের দেখা। সিরি আ’য় আসছে লেগে নাপোলির বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামবে তার ক্লাব। ১৭ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে এসি মিলান। শীর্ষে থাকা ইন্টার মিলানের সংগ্রহ ৪৩ পয়েন্ট।