বলিউডের তারকা অভিনেত্রীদের একজন বিদ্যা বালান। বেশকিছু হিট ছবির মালিক এখন তিনি। চরিত্র প্রধান গল্পে এখনো তার জুড়ি নেই। গ্ল্যামারেও তিনি কম যান না। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকেও কাস্টিং কাউচের ভেতর দিয়ে আসতে হয়েছে!
হ্যাঁ। সম্প্রতি নিজেই একটি সাক্ষাৎকারে পুরনো সেই ট্রমার কথা মনে করলেন বিদ্যা। জানালেন, ক্যারিয়ারের শুরুতে পরিচালকের কুপ্রস্তাব তাকেও পেতে হয়েছে। কিন্তু এসবে সাড়া দেননি তিনি। নিজের অভিনয় গুণেই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বিদ্যা বালান অভিনীত সুপার ডুপার হিট ছবি ‘মিশন মঙ্গল’। এই ছবির প্রমোশনে বিভিন্ন জায়গায় ছুটেছেন বিদ্যা। কথা প্রসঙ্গে কাস্টিং কাউচ নিয়েও কথা বলেছেন বিস্তর।
হেভিওয়েট বাবা-কাকা-মামা না থাকলে ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রিতে কাস্টিং কাউচের পাল্লায় পড়া যেন নিয়মিত ঘটনা! এমনকি কাস্টিং কাউচের পাল্লায় পড়েছিলেন খোদ বিদ্যা বালান। এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, বলিউডে আসার আগে আসার আগে তিনি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছিলেন। আর সেখানেই এক পরিচালক তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
বিদ্যা জানান, চেন্নাইতে থাকাকালীন তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন এক পরিচালক। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতেই তিনি এসেছিলেন। বিদ্যা তার সাথে কফি শপে যাওয়ার প্রস্তাব দিলেও তার প্রস্তাব মানতে চাননি ওই পরিচালক। বারবার নাকি অভিনেত্রীর ঘরেই কথা বলবেন বলে জানান। তখন ওই পরিচালকদের ব্যবহার ভাল লাগেনি বিদ্যার। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ঘরের দরজা খুলে পরিচালককে বাইরের রাস্তা দেখিয়ে দেন। অপমানটা সহ্য করতে পারেননি সেই পরিচালক! বেরিয়ে যান ঘর থেকে। এই ঘটনার পর বিদ্যা বহুদিন দুঃস্বপ্ন দেখতেন। বলা যায় একরকম ট্রমার মধ্যে চলে গিয়েছিলেন যার থেকে বেরতে অনেকটা সময় লেগেছিল।
তবে ওই পরিচালক ভারতীয় দক্ষিণী ছবির নাকি বলিউডের, সে কথা বলেননি বিদ্যা।
প্রসঙ্গত, গেল বছর বিশ্বব্যাপী হ্যাশ ট্যাগে মিটু আন্দোলন বেগবান হলে বলিউডে তা আছড়ে পড়ে। তখন কাস্টিং কাউচ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বলিউডের বেশকিছু নামিদামি অভিনেতারাও।