দেশের বাইরের চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন দেওয়া নেওয়া নিয়ে অভিনেতা ও নির্মাতাদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলছে কয়েকদিন ধরে। কেউ সেটার পক্ষে আবার কেউ বিপক্ষে।
সেসব বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ব্লগার ও সাংবাদিক আরিফ জেবতিক।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, সেদিন একটা বিদেশী মার্কেটিং সেমিনারের ভিডিও দেখছিলাম। বক্তা বলছেন যে খুব দ্রুতই বিলবোর্ডের চাহিদা কমে যাবে। কারণ এখন লোকজন গাড়িতে উঠে বাইরে আশেপাশে তাকিয়ে থাকে না। শুধু ড্রাইভারকে রাস্তার দিকে নজর রাখতে হয়, বাকি সবাই নিজ নিজ স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে। সুতরাং আগামীতে বিলবোর্ডের বিল কমবে, ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের হার ও দাম বাড়বে।
বিষয়টি শুনে মজা লাগলেও কথা সত্যি। যিনি বিজ্ঞাপন দেন, তিনি আপনার মাথা টেনে তার দিকে নজর ফেরাতে পারবেন না, সেই চেষ্টাও তারা করে না। বরং আপনার নজর যেদিকে, সেখানেই তারা তাদের পসরা মেলে ধরে। এজন্যই যেখানে ভিড় হয় সেখানে বিজ্ঞাপনে ঠাসা থাকে, সুনামগঞ্জের হাওরের মাঝখানে ব্র্যান্ডিং করতে যায় না কেউ।
এরপর বিজ্ঞাপন দাতাদের ব্যাপারে এই সাংবাদিক লিখেছেন, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন দাতারা দেখছে যে তাদের ভোক্তারা জি-বাংলা কি স্টার জলসা দেখে, সুতরাং সেই ভোক্তার সামনে পসরা মেলতে হলে জি-বাংলা কি স্টার জলসায় যেতে হবে। হিসাব এরকমই।
বিজ্ঞাপন বাজেট কোনো চ্যারিটি নয়, এটি কাস্টমারকে মেসেজ দেয়ার জন্য বিনিয়োগ।
সবশেষে তিনি লিখেছেন, আপনাকে দুধেভাতে বাঁচিয়ে রাখার লিল্লাহ ফান্ড কেউ খুলে বসেনি। আপনি আপনার দিকে কাস্টমারের নজর কেড়ে নিয়ে আসুন, দেখবেন বিজ্ঞাপনদাতারা হুড়োহুড়ি শুরু করেছে।
এর আগে আপনি যতই জুতা মাড়িয়ে শহীদ মিনারের উঠে, শহীদ মিনারকে ঢেকে দিয়ে চুঙ্গা ফুকেন, কোনো লাভ হবে না।
বাজার অর্থনীতিতে কে বা কার, কে তোমার-সবই ব্যবসা মাত্র।