দরোজায় কড়া নাড়ছে
বাংলা বছরের প্রথম মাস বৈশাখ। ‘অন্তর মম বিকশিত করো, অন্তর তর হে’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কবিতার এ পঙক্তি প্রতিপাদ্য করে বর্ষবরণ করতে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার প্রস্তুতি চলছে। ১৪২৩ বঙ্গাব্দকে বরণ করা হবে
মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের আহ্বানে। বাংলার
চিরায়ত সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলতে থাকবে সরা ও বড় মুখোশ।
বৈশাখের প্রথম সকালকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ১৭তম ব্যাচের তত্ত্বাবধানে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। এ ব্যাচের সমন্বয়ক শেখ খালিদ হাসান রবিন বলেন, মানসিকতার অবক্ষয়ের জায়গা থেকে উত্তরণের পন্থা কী সেই উদ্দেশ্যকে কাজে লাগিয়ে আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রা ১৪২৩ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
১৬ মার্চ থেকে শিক্ষার্থীদের দিনরাত নিরলস শ্রমে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার কর্মযজ্ঞ। মানুষের কল্যাণের বার্তা নিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিবছর বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা করে আসছে চারুকলা অনুষদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে এগুলো আমাদের অজ্ঞাতে না। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে এবং আমাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মুখোশ বলতে যে জিনিসটাকে বোঝানো হয়েছে যে, ‘মুখোশ’ মানুষের মুখকে আড়াল করে। আমরা যে মুখোশ তৈরি করি সেগুলো আসলে শোভাযাত্রার শোভা বর্ধনের জন্য সেগুলো মুখে পরার জন্য না। সেগুলো বেশ বড় আকারের এবং সেগুলোকে আমরা বেশ উপরে তুলে ধরি এগুলোর সাথে মানুষের মুখের আকারের কোন সর্ম্পক নেই।
১লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বেরুবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।