জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভালোবাসি জামালপুর’।
বুধবার উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের পানিবন্দী মানুষের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন সংগঠনের সদস্যরা। গ্রামগুলো হলো: চর নন্দনের পাড়া, পূর্ব বামনা, গুঠাইল, শিংভাংগা, বীর চন্দনের পাড়া।
চিনাডুলী ইউনিয়নটি উপজেলার অন্য এলাকা থেকে একেবারে বিছিন্ন। মূল ভূখণ্ড থেকে যমুনার চরটিতে নৌযানে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় একঘণ্টা। এলাকা মাঠ ও ঘরবাড়িতে বুকসমান পানি। গবাদিপশু আর আশ্রয়হীন মানুষগুলো উঁচু কোনো জায়গায় কষ্টে দিন পার করছে। অনেকে অধিবাসীর দিন কাটছে অর্ধাহারে–অনাহারে।
ইউনিয়নটির অন্য গ্রামে কিছু ত্রাণ পৌঁছালেও চর নন্দনের পাড়া গ্রামে আগে পৌঁছায়নি বলেই অভিযোগ বন্যার্তদের। অসহায় এইসব মানুষের জন্যই ভালোবাসি জামালপুরের ত্রাণ তৎপরতা।
এই দু:সময়ে ত্রাণ পেয়ে পূর্ব বামনা গ্রামের জোবেদা বেগম, চর নন্দন পাড়ার দিনমজুর শামসু আলীর মতো অনেকে আনন্দিত ও আবেগাপ্লুত।
দু:স্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে ভালোবাসি জামালপুরের প্রতিষ্ঠাতা সজীব মিয়া বলেন, ত্রাণ হিসেবে একটি পরিবারের একসপ্তাহ চলার মতো চাল, ডাল, তেল, আলু, চিড়া, লবণ, সাবান ও ওরস্যালাইন দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের পক্ষে সংগৃহীত ব্যক্তি অনুদান থেকে ৩০০ জন মানুষের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেবে ভালোবাসি জামালপুর। প্রথম দফায় ইসলামপুরে ১৫০ জন বন্যাদুর্গত মানুষকে এই সহায়তা তুলে দেওয়া হলো।
সজীব মিয়া বলেন, ত্রাণের আরেক অংশ দেওয়ানগঞ্জের দুর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ করব আমরা। আমাদের এই উদ্যোগে ক্যাডেট কলেজ ইনটেক ২০১০ ব্যাচ, ইউটিউবার ইয়েলো পটেটো ও কিটো ভাই এবং মাস্তুল ফাউন্ডেশনসহ ব্যক্তিগতভাবে যারা সহায়তা করেছেন ভালোবাসি জামালপুর তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
জেলার তরুণদের সংগঠন ‘ভালোবাসি জামালপুর’। মুক্তিযুদ্ধ গবেষণাসসহ নানা সামাজিক ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সংগঠনটি। ইতিমধ্যে মানবতার সেবায় ব্রত থাকার ফলে জাতীয়ভাবেও স্বীকৃতি মিলেছে। এর মধ্যে ইয়াং বাংলার ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ অন্যতম।