টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নদ নদীর পানি বেড়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। বাড়ছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ। ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ বন্যার্তদের।
গাইবান্ধা
কক্সবাজার, মৌলভীবাজার ও সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দেশের উত্তরাঞ্চলে আরো অবনতি হয়েছে। টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার সব নদীর পানি বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে সদর উপজেলার ২২টি গ্রাম তলিয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জেও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি ঢুকেছে সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালি উপজেলার প্রায় ২৭ টি ইউনিয়নে।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত। পানিবন্দি ২০ ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। নিম্নাঞ্চলের পথ-ঘাট ও ঘর বাড়ি তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ সবজি ক্ষেত।
বগুড়া
বগুড়ায় যমুনা ও বাঙালি নদীর পানি বেড়ে সারিয়াকান্দির চার ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন।
জামালপুর
জামালপুরে যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিন উপজেলায় ২০টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
কক্সবাজার
কক্সবাজার সদরের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত। ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
মৌলভীবাজারে
মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে অপর্যাপ্ত ত্রাণের কারণে দুর্ভোগে দিন কাটছে পানিবন্দি মানুষের। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।
প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য ও ভিডিও চিত্রে মৌসুমী সুলতানার রিপোর্টে দেখুন বিস্তারিত: