সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ৭১ এ আয়োজিত এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) প্রকল্পের আওতায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতের জন্য অনুষ্ঠিত ‘লিংকেজ ওয়ার্কশপ অন লেদার সেক্টর’ শীর্ষক ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, চামড়া বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত। আমাদের কাঁচামাল ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। বিভিন্ন দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আমাদের সক্ষমতা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারলে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল, ফুটওয়্যার এবং প্লাস্টিক খাতের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ইসিফোরজে নামক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এ সব খাতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং রপ্তানি বাড়বে।
বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে উল্লেখ করে জাফর উদ্দীন বলেন, এর ফলে বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, এ জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। রপ্তানি বাণিজ্যে দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। এই বিষয়ের উপর কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন মো. মমিনুল আহসান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফিনিস লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের সমন্বয়ক মো. আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।